প্রতিবন্ধীদের স্কুল স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তিসহ পাঁচদফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
তারা বলছেন, এমপিওভুক্তি ছাড়া সড়ক ছাড়াবেন না। অনতিবিলম্বে সব অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ২২তম দিনের মতো জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেন শিক্ষকরা এসময় তাদের আটকে দেয় পুলিশ। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে কাফনের কাপড় মুড়িয়ে শুয়ে পড়েন। এতে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
তারা বলছেন, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো স্বীকৃতি ও এমপিওর জন্য আবেদনের প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে আবেদন গ্রহণ করে।
পরবর্তীতে বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯-এর আলোকে জাতীয় স্বীকৃতি ও এমপিও কমিটি গঠন করে বিদ্যালয়গুলোকে ক, খ, এবং গ এই তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কার্যক্রম শুরু করে, যা অত্যন্ত ধীরগতির। ফলে, সারাদেশের শিক্ষক-কর্মচারী অত্যন্ত মানবেতর জীবন-যাপন করছেন এবং প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষাক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
মানবেতর জীবন-যাপনকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে শতভাগ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের এই প্রচেষ্টা সরকারের হাত শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমাদের এই কর্মসূচি।
শিক্ষক-কর্মচারীদের পাঁচদফা দাবি হলো- অনতিবিলম্বে সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষাভাতা তিন হাজার টাকা নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের মিড-ডে মিলসহ শিক্ষোপকরণ, খেলাধুলা সরঞ্জাম দেয়া ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভোকেশনাল কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পুনর্বাসন সুনিশ্চিত করতে হবে।