বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম রানাকে অফিস চলাকালীন সময়ে রুমে ঢুকে জুতাপেটা করার অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ লেনদেনের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অর্থদপ্তরে নিজ রুমে বসে ছিলেন শহিদুল ইসলাম রানা। এমন সময় কোনো কথা না বলেই মতিউর রহমান ডেস্কে গিয়ে রানাকে জুতাপেটা করে বেরিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মতিউর রহমানের সঙ্গে শহিদুল ইসলামের টাকার লেনদেন নিয়ে দীর্ঘদিন ঝামেলা চলছে। এছাড়াও প্রতারণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমকর্তা-কর্মচারীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে শহিদুল ইসলাম রানার বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে বলেও জানা গেছে। এসব অভিযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শহিদুল ইসলাম রানার আপগ্রেডেশনও আটকে রেখেছেন।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত কর্মচারী (দৈনিক মজুরিভিত্তিক) মতিউর রহমান বলেন, রানা আমার কাছে থেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে। আমি টাকা পামু। টাকা তো দেয়ই না আবার আমার নামে থানায় জিডি করছে। আমি তারে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করায় বলে আপনিও আমার নামে ডিজি করেন। দীর্ঘদিন পাওনা টাকা নিয়ে তালবাহানা করতেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম রানা বলেন, মতিউর আমাকে কয়েকদিন আগে হুমকি দিয়েছে। সে আমার কাছে চাঁদা দাবি করছে। আমি তার বিরূদ্ধে এ নিয়ে মামলা করেছি। আজকে অফিসে এসে আমাকে বলে আমি কেনো মামলা করেছি। এ বলেই আমাকে সে জুতাপেটা শুরু করে। টাকার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাকে প্রমাণ দেখাতে বলেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার নাদিম মল্লিক বলেন, একজন কর্মকর্তাকে একজন কর্মচারী তার অফিসে গিয়ে এভাবে জুতাপেটা করা কোনো ধরনের নিয়মের মধ্যে পড়ে বলে আমার জানা নেই। একজন কর্মকর্তা হিসেবে আমি খুবই লজ্জিত। আমি এর যথাযথ বিচার দাবি করছি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি ইতোমধ্যে অভিযোগ পেয়েছি। তার ওপর ভিত্তি করে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত কর্মচারীকে ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশনা দিয়েছেন। উপাচার্য অসুস্থ। তিনি ক্যাম্পাসে ফিরলেই এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।