ঢাবির সলিমুল্লাহ হলে ব্যবসায়ীকে আটকে টাকা দাবি, যা জানালো হল কর্তৃপক্ষ | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

ঢাবির সলিমুল্লাহ হলে ব্যবসায়ীকে আটকে টাকা দাবি, যা জানালো হল কর্তৃপক্ষ

চিঠিতে বলা হয়েছে, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল কর্তৃপক্ষ গত ৬ জুন সকাল আনুমানিক সাড়ে ৫টায় প্রক্টর অফিসের মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে। হল প্রভোস্ট অসুস্থ থাকায় তিন জন আবাসিক শিক্ষক সঙ্গে সঙ্গে হলে গিয়ে হলের ১৯ নম্বর কক্ষে কামরুজ্জামান আপন নামে এক বহিরাগতকে পায়।

#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় #সলিমুল্লাহ মুসলিম হল #ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে এক লাখ টাকা দাবির ঘটনা স্পষ্ট করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে জানিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সব মহলকে বিস্তারিত জানানো হবে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান আপন থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করতে অস্বীকৃতি জানায়।

চাঁদাবাজিতে জড়িতরা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার যে বক্তব্য প্রচার হয়েছে, তা হল প্রশাসন দেয়নি। হলের ছাত্রদের রাজনৈতিক পরিচয় সর্ম্পকে হল কর্তৃপক্ষ কোনো বক্তব্য দেয়ার এখতিয়ার রাখে না বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার হল কর্তৃপক্ষের পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল কর্তৃপক্ষ গত ৬ জুন সকাল আনুমানিক সাড়ে ৫টায় প্রক্টর অফিসের মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে। হল প্রভোস্ট অসুস্থ থাকায় তিন জন আবাসিক শিক্ষক সঙ্গে সঙ্গে হলে গিয়ে হলের ১৯ নম্বর কক্ষে কামরুজ্জামান আপন নামে এক বহিরাগতকে পায়। সে নিজেকে পলাশীর একজন ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেয়।

কামরুজ্জামান আপন, মো. সেলিম রানা (সিয়াম) ও মো. বাবু মিয়া নামক দুইজন শিক্ষাথীর পূর্ব পরিচিত বলে জানা যায়। পলাশীর ছাগলের হাটের টাকা ভাগাভাগির জেরে তাকে হলে আনা হয়েছে বলে সিয়াম আবাসিক শিক্ষকদের জানায়। হলে ঢোকার সময় সিয়াম নিরাপত্তা প্রহরীদের জানায় যে, কামরুজ্জামান আপন তার অতিথি, একটু পরে চলে যাবে।

হলের শিক্ষার্থীরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় জরুরি সভা ডাকা হয়। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার ও মুচলেকা নেয়া হয়। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সব মহলকে বিস্তারিত অবহিত করা হবে। উল্লেখ্য, কামরুজ্জামান আপন থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করতে অস্বীকৃতি জানায়।

উল্লেখ্য, কয়েকটি সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর এসেছে যে, হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে চাঁদাবাজির ঘটনার সাথে জড়িতরা ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরণের কোন বক্তব্য কাউকে বা কোথাও দেওয়া হয়নি। আদতে, হলের ছাত্রদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পকে হল কর্তৃপক্ষ কোন বক্তব্য দেওয়ার এখতিয়ার রাখে না।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় #সলিমুল্লাহ মুসলিম হল #ঢাবি