ঢাকা বিশ্বিদ্যায় (ঢাবি) প্রশাসনে এখনও আওয়ামী লীগের ‘দোসররা’ দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে শাখা ছাত্রদল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আগে এসব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিচার চায় সংগঠনটি।
তাদের দাবি, প্রশাসনে ‘আওয়ামী দোসররা’ বহাল থাকলে ডাকসুর সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
সোমবার (৫ মে) দুপুরে উপাচার্য (ভিসি) কার্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয় শাখা ছাত্রদল।
ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ সংগঠনের সাতজন শীর্ষ নেতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচন আয়োজনসহ ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তাদের বক্তব্য ভিসির কাছে তুলে ধরে।
ছাত্রদলের নেতারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি প্রশাসনে থাকা ‘আওয়ামী দোসরদের’ বিচার করতে হবে। এরপরই তারা ডাকসু নির্বাচন চান।
বৈঠকে অংশ নেওয়া ছাত্রদলের এক নেতা জানান, প্রশাসনে এখনও অনেক ‘আওয়ামী দোসর’ দায়িত্ব পালন করছেন, যারা আগে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ করতেন। তাদের হাতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তিনি নিজেও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানান। তাই ডাকসু নির্বাচনের আগে তারা এসব ব্যক্তিদের বিচার চান।
আরেক ছাত্রদল নেতা বলেন, সম্প্রতি তারা কিছু দাবি নিয়ে ভিসির কাছে গিয়েছিলেন, কিন্তু তখন ভিসি সময় দিতে পারেননি।
সোমবার ভিসি সময় দিয়েছেন এবং তারা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তাদের বক্তব্য ভিসির কাছে তুলে ধরেছেন।
এর আগে গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনামলে এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ও সহযোগিতাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে শাখা ছাত্রদল।
টিএসসির রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি ভিসি চত্বর হয়ে প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্রদলের অভিযোগ, প্রশাসনে ‘আওয়ামী দোসরদের’ উপস্থিতি ডাকসু নির্বাচনের সুষ্ঠুতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। তারা মনে করেন, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা জরুরি।
তাদের দাবি, অতীতে যারা শিক্ষার্থী নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের বিচার না হলে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব নয়।
ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের এই দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।