মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।
করোনা পরিস্থিতি মহামারিতে রূপ নিলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ কার্যক্রম বন্ধ রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। তবে তেমন পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি বলে মনে করছেন তিনি।
শনিবার (২১ জুন) দৈনিক আমাদের বার্তার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন অভিমত দেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়- সম্প্রতি আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা ভাবছেন কি না।
উত্তরে অধ্যাপক আজাদ খান বলেন, করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধির নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের পর শিক্ষাক্ষেত্রে তা যদি আউট অব কন্ট্রোল হয়- তখন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গতানুগতিক পাঠকার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। মহামারি বা প্যানডেমিক হয়ে গেলে বন্ধ রাখাই উচিত হবে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, এর আগে করোনা মহামারি চলাকালে দীর্ঘ দিন দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন টানা অনেক দিন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি দেশে ফের করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশ জুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান বন্ধ রাখার দাবি উঠেছে। এমনকি কিছু দিন ধরে আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে বিক্ষোভ ও অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে সবসময়ই বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মতো পরিস্থিতি এখনো ঘটেনি। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হযেছে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।