বেসরকারি ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বর্তমান ট্রাস্টি আহমেদ ফরাদ খানের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সামনে এই মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ কার্যক্রম শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যে (২০১৪-২০১৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ২২ হাজার জন এবং বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকার মিরপুরে দুই বিঘা দশ কাঠা জমির ওপরে ১৪ তলা সু-বিশাল স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন করেন। বিগত ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণের জন্য প্রথম কনভোকেশনের আয়োজন করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন প্রাপ্তি, স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন ও সুষ্ঠভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মকবুল আহমেদ খান অসামান্য অবদান রাখেন।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আকস্মিকভাবে গত ৬ মাস আগে কতিপয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে অধ্যাপক ড. মকবুল আহমেদ খান বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করেন। তার অবর্তমানে তার ছেলে আহমেদ ফরাদ খান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানা ধরনের গ্রুপিং করা, ট্রাস্টি বোর্ড থেকে মূল প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপককে ড. মকবুল আহমেদ খানকে কর্মস্থলে যোগদানে বাধা সৃষ্টি করে। ফলশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি একাডেমিক কার্যক্রম ক্রমাবনতির দিকে যাচ্ছে। ঠিকমতো ক্লাস হয় না, অনলাইন ক্লাসের নামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণাসহ নানা ধরনের অনিয়মে ভরে গেছে।
এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়টি অচিরেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
এমতাবস্থায় মূল প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ড. মকবুল আহমেদ খানকে তার স্থলে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী একমত। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সহযোগিতা ও নির্দেশনা কামনা করেন তারা।