শেখ মুজিব-তাজউদ্দীনের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ পড়েনি: অধ্যাপক মামুন | বিবিধ নিউজ

শেখ মুজিব-তাজউদ্দীনের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ পড়েনি: অধ্যাপক মামুন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দীন আহমেদের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ পড়েনি বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্টে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন।

#মুক্তিযোদ্ধা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দীন আহমেদের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ পড়েনি বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্টে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন।

বুধবার (৪ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে অধ্যাপক মামুন এ কথা জানান।

তার পোস্টটি হুবুহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—

বাংলাদেশ সরকারের গতকালের গেজেট পড়ে দেখলাম। পত্রিকায় সাংবাদিকরা বা রিপোর্টাররা যেইভাবে প্রকাশ করেছেন তা অসত্য। সেই গেজেট অনুসারে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সব সদস্যকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বা তাজউদ্দীন আহমেদের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ পড়েনি। তারা সবাই মুজিবনগর সরকারের সদস্য! অথচ দেশের অনেকগুলো প্রত্রিকা ভুয়া প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলছে।

এই দেশের সাংবাদিকরা আসলে সাংবাদিকতা করে না। তারা করে অপসাংবাদিকতা। সে যাই হউক বর্তমান ইন্টেরিম সরকারকেইবা এখন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে গেজেট প্রকাশ করতে হলো কেন? তাদেরতো এর চেয়ে অযুত লক্ষ নিযুত কোটি গুণ গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরে আছে। এইসব আজাইরা কাজ রেখে সেইসব মহা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করুন প্লিজ।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়টা না হয় বাদ দিলাম। আপনারা যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়, এয়ারপোর্ট ইত্যাদির নাম পরিবর্তনের আর্থিক মাশুল জানেন? আপনারা টাকার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ছবি আছে বলে তার ছবি বাদ দিয়ে নতুন টাকা ছাপালেন। এই পরিবর্তনের আর্থিক মাশুল জানেন? দেশ যেখানে আর্থিক সমস্যায় ভুগছে সেখানে এইসব ফালতু কাজ করা রীতিমত ক্রাইম। টাকা নাই এই দোহাই দিয়ে শিক্ষায় বরাদ্দ দেন জিডিপির মাত্র ১.৭%। অথচ আপনারা ছাত্র শিক্ষকদের আন্দলনের ফসল। ছাত্র-শিক্ষকদের দিকে তাকিয়ে হলেওতো শিক্ষায় অন্তত ৫% না হউক ৪% দেওয়া উচিত ছিল। প্রতিরক্ষায় বাজেট কত? ওখানে কমিয়েছেন?

আপনারা কি রাগ নিয়ে সরকার চালাচ্ছেন? আপনারা না শপথ নিয়েছেন রাগ বা অনুরাগের বশবর্তী হয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না? এইসব ফালতু, আজাইরা, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দিন। এইসব কাজে সময় ব্যয় করার জন্যতো আপনাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এইসব কাজের মাধ্যমে দেশের একটা বড় অংশের মানুষের মধ্যে রাগ ক্ষোভ সৃষ্টি করছেন যা শেখ হাসিনা সরকারও করেছিল। এই ক্ষোভ যখন পারকোলেট করবে দেশে কিন্তু অরাজগতা সৃষ্টি হবে। আপনাদের নিয়ত খুব ভাল মনে হচ্ছে না। আপনারা আসলে নিজেরাই প্রমাণ করছেন আপনারা আসলে এনজিও এবং কর্পোরেট ড্রিভেন সরকার ফলে আপনারা তলিয়ে ভাবতে পারেন না। আপনাদের কোন রাষ্ট্র দর্শন নাই।

#মুক্তিযোদ্ধা