শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এম. মহবুবউজ্জামান একাডেমিক ভবন এখন শিক্ষার্থীদের জন্য দুর্ভোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তীব্র পানির সংকট, অপর্যাপ্ত ফ্যান ও সাউন্ড সিস্টেম, নোংরা ক্লাসরুম এবং বেহাল ওয়াশরুম—এসব কারণে তিনটি অনুষদের শিক্ষার্থীরা পড়েছেন নানাবিধ শারীরিক ও মানসিক ভোগান্তিতে। দীর্ঘ সময় ধরে ক্লাস ও পরীক্ষা চালিয়ে যেতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা ডিহাইড্রেশন, দুর্বলতা ও নানা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভুগছেন। বহুবার দাবির পরও মিলছে না কার্যকর সমাধান।
ফিল্টার আছে, কিন্তু নেই পানি। দশতলা বিশিষ্ট এই ভবনে একটি আধুনিক পানির ফিল্টার থাকলেও তাতে পানি আসে না। ডিন অফিস ও সেমিনার রুমে অল্প কিছু ছোট ফিল্টার থাকলেও সেগুলোর বেশিরভাগই মাসের পর মাস অকেজো। সচল ফিল্টার দিয়ে এত সংখ্যক শিক্ষার্থীর প্রয়োজন মেটানো সম্ভব নয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ—অনেক সময় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না সুপেয় পানি। তীব্র গরমে ডিহাইড্রেশন, মাথাব্যথা ও দুর্বলতা নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এএসভিএম অনুষদের শিক্ষার্থী জিহাদ হাসান বলেন, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জীবন। ক্লাসরুমে নেই পর্যাপ্ত ফ্যান, তার ওপর নেই পানির ব্যবস্থা। শরীরে টক্সিফিকেশন হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ক্লাস ও পরীক্ষার চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
জীর্ণ ভবনে শিক্ষা কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা। শুধু পানির অভাবই নয়, একাডেমিক ভবনটির পরিকাঠামোতেও রয়েছে নানা সমস্যা। অপরিচ্ছন্ন ক্লাসরুম, অকার্যকর ফ্যান, নষ্ট সাউন্ড সিস্টেম ও অযত্নে পড়ে থাকা ওয়াশরুম প্রতিদিনের ভোগান্তির উৎস। নেই হ্যান্ডওয়াশ ও প্রয়োজনীয় স্যানিটেশন সুবিধাও।
ফিসারিজ, একোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব জানান, পানির সমস্যাটা আমরাও ফেস করি। কিছুদিন পরপর ঠিক করলেও আবার নষ্ট হয়ে যায়। স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। এই গরমে শিক্ষার্থীদের কষ্ট দেখে খারাপ লাগে।
এনিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সাউন্ড সিস্টেম নষ্ট হয়ে গেছে, নতুন কেনার জন্য প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিছু অতিরিক্ত ফ্যান লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে, এসির বিষয়েও ভাবছি। ওয়াশরুম রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে লোকবল কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে বারবার প্রশাসনকে জানানো হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. মোমেনুল আহসানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।