‘সামাজিক মর্যাদা রক্ষায়’ জাল শিক্ষকরা এবার আদালতে! | এমপিও নিউজ

‘সামাজিক মর্যাদা রক্ষায়’ জাল শিক্ষকরা এবার আদালতে!

‘সামাজিক মর্যাদা রক্ষায়’ জাল শিক্ষকরা এবার আদালতে!

#শিক্ষক #জাল সনদ #এমপিও

প্রতীকী ছবিপ্রতীকী ছবি

‘সামাজিক মর্যাদা রক্ষায়’ জাল শিক্ষকরা এবার আদালতে!

এর আগে শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র প্রিন্ট জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তায় ধারাবাহিকভাবে হাজার হাজার জাল শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ হয়।

এরপর কেউ গা ঢাকা, কেউবা শিক্ষকতা পেশা থেকে ইস্তফা, কেউবা বরখাস্ত। তবে, একটা বড় অংশ হাল ছাড়েননি।

তারা জুলাই অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বেসরকারি শিক্ষক নেতা ও একশ্রেণির শিক্ষা প্রশাসককে ‘ম্যানেজ’ করে চাকরি রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছেন।

প্রমার্জন পাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। তাদেরকে সুযোগ দেওয়া হবে বৈধ প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিয়ে।

এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছেন একাধিক বেসরকারি শিক্ষক নেতা যাদের নিজেদের কারো সনদ জাল, কারোবা ভুয়া অথবা যারা গোঁজামিলের অভিজ্ঞতার সনদে অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের পদ বাগিয়েছিলেন।

নীতিবান বেসরকারি শিক্ষক নেতারা অবশ্য এই উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করছেন। তারা বলছেন, ডিআইএতে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা বছরের পর বছর ধরে অনুসন্ধান করে জাল সনদধারীদের চিহ্নিত করেছেন।

শিক্ষা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় তাদের বড় কাগজে জবাব চেয়েছেন। শুনানি করেছেন। সবশেষে এমপিও বন্ধ করেছেন। সুতরাং এখন তাদেরকে রক্ষা করা হলে ছি:ছিক্কার রব উঠবে।

জাল শিক্ষকের প্রকৃত সংখ্যা কেউ জানেন না। তবে, কয়েকহাজার এনটিআরসিএর সনদ বিক্রি করে একজন সিস্টেম অ্যানালিস্ট অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন কয়েক বছর আগে।

এছাড়া ডিআইএর তদন্ত ও অনুসন্ধানে কয়েক হাজার জাল সনদধারী এমপিওভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন।

জানা যায়, জাল শিক্ষক-কর্মচাীদের এমপিওভুক্তি বাতিলের আদেশ থাকলেও তা অব্যাহত রাখার সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলের অধিকাংশ কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

তারা সবাই প্রকলপভুক্ত ও অস্থায়ী। ইএফটি চালও হলে তারা ধরা পড়বে, জাল ও ভুয়া চিহ্নিত হবে তাই অযথা দেরি করেছে মর্মেও অভিযোগ শিক্ষকদের।

এর আগে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও অবসর সুবিধা দিতে আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারে ইলেকট্রনিক্স ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) বেতন-ভাতা দেয়ার কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তৎকালীন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছিলেন, এর ফলে শিক্ষকদের এমপিওর টাকা পেতে ভোগান্তি থাকবেন না একইসঙ্গে জাল শিক্ষকদের অপকর্ম বন্ধ হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ. ম. কবিরুল ইসলাম বলেন, ইএফটিতে বেতন-ভাতা দেয়ার কারণে শিক্ষক-কর্মচারীরা অনেক হয়রানি থেকে যেমন বাঁচবেন, আবার ভুয়া এমপিও চিহ্নিত করা যাবে এবং অর্থ সাশ্রয়ী হবে।

তিনি বলেন, ইএফটি কার্যক্রমে প্রায় ১০ হাজার জাল শিক্ষক চিহ্নিত হয়েছেন। এতে আমাদের ৪৮০ কোটি টাকা সরকারের সাশ্রয় হয়েছে। এটি শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের তথ্য।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে আশা করা যায় এর সমপরিমাণ বা বেশিও হতে পারে। ইএফটিএ বেতন কার্যক্রম চালু হলে আমরা এটা বের করতে পারবো এবং অর্থ সাশ্রয় হবে।

তিনি আরো বলেন, উপজেলা- জেলা শিক্ষা অফিসে ও উপপরিচালকের অফিসে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও করার সময় রেকর্ডপত্র যাচাইয়ের নামে যে হয়রানি এই বিষয়টি কীভাবে কমানো ও এ কার্যক্রমকে অনলাইনে করা যায় তা ভেবে দেখার সময় এসেছে।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#শিক্ষক #জাল সনদ #এমপিও