কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মারামারি, যা বলছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন | বিবিধ নিউজ

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মারামারি, যা বলছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

আহত শিক্ষার্থীদের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদসহ কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শাটার বন্ধ করে মারধর করে। এ সময় নারী শিক্ষার্থীদেরও হেনস্তা এবং মারধর করা হয়।

#বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মারামারির পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলছে, এ ঘটনায় অভিযোগকারীরা কেউই সাংগঠনিক পরিসরে যুক্ত নয়। মঙ্গলবার বিকেলে সংগঠনের সেল সম্পাদক (দপ্তর সেল) জাহিদ আহসানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুইপক্ষের মারামারিতে ৭ শিক্ষার্থী আহত হন।

আহতরা হলেন- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমরান সরকার (২১), তেজগাঁও কলেজের জান্নাতুল মিম (২২), আবরার (২২), আল আমিন (২৫), আফসার উদ্দিন (২৫), কবি নজরুল কলেজের আসিফ (২৪) ও ডেমরা বড় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মাসুদ (২৪)।

আহত শিক্ষার্থীদের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদসহ কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শাটার বন্ধ করে মারধর করে। এ সময় নারী শিক্ষার্থীদেরও হেনস্তা এবং মারধর করা হয়।

এ ঘটনার পর দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলামোটরস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিপথগামী কয়েকজন মানুষ এসে বিভিন্ন অপ্রীতিকর স্লোগান দিতে থাকে। একসময়ে তারা জোর-জবরদস্তি করে কার্যালয়ের ফটক বন্ধ করে দেয়। এতে অফিস রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরে তৎক্ষণাৎ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রিফাত রশিদ, আহনাফ সাঈদ খান, নাঈম আবেদিন, আসাদ বিন রনি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে আগত ব্যক্তিদের দাবি-দাওয়া শুনতে চান।’

এতে আরও বলা হয়, ‘কিন্তু, তারা সহযোগিতার বদলে নির্বাহী সদস্যদের উপরেও চড়াও হন। নির্বাহী সদস্য নাঈম আবেদিন এতে আহত হন। পরবর্তীতে অন্যান্য নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগমন করলে পরিস্থিতি উত্তপ্তকারীদের কার্যালয় ত্যাগে বাধ্য করা হয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সহিংসতার বদলে সৌন্দর্য এবং সম্প্রীতির বিকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাথেয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, সাংগঠনিক সকল সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব। আলোচনার বদলে যারা সহিংসতার পথ বেছে নিবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের বিষয়ে বিন্দুমাত্র সহানুভূতি প্রদর্শন করবে না।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলছে, ‘আজকের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য দায়ী ব্যক্তিরা কেউ কেউ গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী থাকলেও, কেউই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সাংগঠনিক পরিসরে যুক্ত নয়। ঢাকা মহানগরের দায়িত্বশীল এবং ঘটনাকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত নির্বাহী সদস্যদের সমন্বয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে তদন্ত কাজে নিয়োজিত আছে। তদন্ত শেষে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

#বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন