ঢাকা মহানগরীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন বহুতল নতুন ভবন নির্মিত হচ্ছে। আগামী ১ জুন ঢাকার উত্তরা আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দৃষ্টিনন্দনভাবে নির্মিত পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন উদ্বোধন করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
ভবনগুলো হলো- উত্তরার ‘আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’; মিরপুর এক নম্বর সেকশনের ‘ওয়াক আপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’; মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ‘খলিলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’; উত্তরার ‘ডিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’ এবং গেন্ডারিয়ার ধুপখোলা মাঠ সংলগ্ন ‘কোব্বাদ সরদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’।
এ পাঁচটি ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৪ কোটি ৯৬ লাখ আট হাজার টাকা। পাঁচটি ভবনের মধ্যে ছয়তলা ভিতবিশিষ্ট চারটি চারতলা ভবন এবং একটি তিনতলা ভবন। এগুলোতে শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক কক্ষ মিলে ৭৫টি কক্ষ রয়েছে। ওয়াস ব্লক রয়েছে ৮৯টি। বিদ্যালয়গুলোর নতুন ভবনে ছাত্র-ছাত্রীর মোট ধারণ ক্ষমতা ২ হাজার ৬৯৬ জন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা এর আগে ২৬ ডিসেম্বর দৃষ্টিনন্দনভাবে নির্মিত প্রথম পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের উদ্বোধন করেন। ভবনগুলো হলো-মিরপুর এক নম্বর সেকশনের মাজার রোড সংলগ্ন ‘লালকুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’; মিরপুর সাত নম্বর সেকশনস্থ ‘আনন্দ নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’; ঢাকার বাড্ডাস্থ আলাতুনন্নেসা হাই স্কুল সংলগ্ন ‘ভোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’; ডেমরার কোনাপাড়া রোডস্থ ‘পাড়াডগার মান্নান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন এবং গুলশানস্থ মাস্টারবাড়ী বাজার-আটিপাড়া রোড সংলগ্ন ‘মুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করে। এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা মহানগরীর ১২টি থানায় ১৩২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন পুনঃনির্মাণ, ১০টি মেরামত এবং ১৪টি নতুন বিদ্যালয় ভবন (উত্তরাতে তিনটি ও পূর্বাচলে ১১টি) স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের মেয়াদ জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুন ২০২৭ পর্যন্ত। এ প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ১ হাজার ৩৭২ কোটি ৮২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
স্কুলগুলোর বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) এবং নির্মাণকারী সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।