গণপি/টুনিতে নিহ/ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে জাবি থেকে বহিষ্কার | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

গণপিটুনিতে নিহতকেও জাবি থেকে বহিস্কার!

মৃত্যুর সাত মাসের বেশি সময় পর, এই শিক্ষার্থীকে নিজ বিভাগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জাবি প্রশাসন।

#জাবি #ছাত্রলীগ

শামীম আহমেদশামীম আহমেদ

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণপিটুনিতে প্রাণ হারান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা।

মৃত্যুর সাত মাসের বেশি সময় পর, এই শিক্ষার্থীকে নিজ বিভাগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জাবি প্রশাসন। তিনি ইতিহাস বিভাগের (৩৯ ব্যাচ) সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন।

গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কর্তৃক পাঠানো সাময়িক বহিষ্কারের এক চিঠিতে শামীম মোল্লাসহ ১২ জনের নাম পাওয়া গেছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান বলেন, ‘ মৃত মানুষের নাম থাকার কথা না।

হয়তো খেয়াল করেনি। তাই শামীম মোল্লার নামটি ভুলে এসেছে। এখন তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেয়া হবে।’

সাময়িক বহিষ্কারের চিঠিতে বলা হয়, গত ১৪, ১৫ ও ১৬ জুলাইয়ে ক্যাম্পাসে সংঘটিত নৃশংস ঘটনায় সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায়; ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮-এর ৩ (২) (গ) ধারা অনুযায়ী ইতিহাস বিভাগের ১২ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।

এই তালিকায় প্রথমে রয়েছে ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার (মৃত) নাম। চিঠিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জয় বাংলা’ ফটক এলাকায় শামীম মোল্লাকে ব্যাপক মারধর করে কিছু শিক্ষার্থী। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেওয়া হয়।

একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আশুলিয়া থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এরপর রাত ৯টার দিকে চিকিৎসার জন্য সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

#জাবি #ছাত্রলীগ