শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল যে দিন থেকে | শিক্ষক নিবন্ধন নিউজ

শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল যে দিন থেকে

গত ৪ মে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

#শিক্ষক নিবন্ধন #নারী #কোটা #নিয়োগ #শিক্ষক

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা না রাখার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সিদ্ধান্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি থেকেই কার্যকর হচ্ছে। গত ৪ মে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সভায় উপস্থিত থাকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং এনটিআরসিএর একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সভায় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই নীতিমালা জারি করা হবে।

সভায় উপস্থিত থাকা মাধ্যমকি ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আরো একজন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছ। এখন শুধু পরিপত্র জারি করা বাকি রয়েছে। সভার রেজ্যুলেশন বের হওয়ার পর পরিপত্র জারি করা হতে পারে।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নারী কোটা বাতিলের বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল। সেই আবেদনের আলোকে বিষয়টি নিয়ে একাধিক সভা হয়েছে। সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়েছে। এ মতামতের ফলে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩০ শতাংশ নারী কোটা চালু আছে। কিন্তু দেশের কোনো কোনো এলাকায় নারী কোটা পূরণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। এলাকাভেদে বর্তমানে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত নারী কোটা চালু আছে।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিগত সরকার। এতে ৯৩ শতাংশ মেধা এবং বাকি ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়। নারী ও পোষ্য কোটা রাখা হয়নি।

দেশে সরকারি চাকরির সব গ্রেডের নিয়োগে ৭ শতাংশ কোটা কার্যকরের নতুন সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। তবে কিছু দপ্তরে আলাদা নিয়োগবিধির কারণে এখনও কার্যকর রয়েছে বিভিন্ন বিশেষ কোটা।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর এনটিআরসিএ ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের চাহিদা দেয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ এপ্রিলের চিঠিতে দুর্গম হিসাবে চিহ্নিত উপজেলাগুলোতে মহিলা শিক্ষক নিয়োগের বাধ্যবাধকতা শিথিলযোগ্য বিবেচিত হবে। এগুলো হলো- ভোলার মনপুরা, বাগেরহাটের শরণখোলা, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, খুলনার দাকোপ, কুমিল্লার মেঘনা, খুলনার কয়রা, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, রৌমারী, নোয়াখালীর হাতিয়া, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া, নওগাঁর আত্রাই, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, ময়মনসিংহের ধোবাউড়াতে নারী প্রার্থী নিয়োগে ছাড় দেয়া হবে।

এ ছাড়া কয়েকটি জেলাকে নারী কোটা মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলো হলো-সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান। এই জেলাগুলোর মহানগর অথবা জেলা শহরের পৌরসভা ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলা কোটা শিথিলযোগ্য বিবেচিত হবে।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#শিক্ষক নিবন্ধন #নারী #কোটা #নিয়োগ #শিক্ষক