ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, গৌতম বুদ্ধ শান্তির কথা, লোভ-লালসা থেকে দূরে থাকার কথা এবং বর্তমানকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার কথা বলেছেন। এই মুহূর্তে তার এসব বাণী ও শিক্ষা খুবই প্রাসঙ্গিক।
তার এসব শান্তির বাণী আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিফলন ঘটানোর ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
রোববার সকালে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে জাতীয় সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য এ কথা বলেন। বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে সম্প্রীতি উৎসব ও শান্তি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। তিনি শান্তি শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন এবং সম্প্রীতি উৎসবের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রধান অতিথি ছিলেন।
উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে সকল জাতিগোষ্ঠী ও ধর্ম-বর্ণের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে।
সামাজিক বৈষম্য নিরসনে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, এলক্ষ্যে আমরা প্রথমবারের মতো ঢাকাসহ ৫টি জেলায় বুদ্ধ পূর্ণিমার সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ভবিষ্যতে দেশব্যাপী এই উৎসব উদযাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।আলোচনা পর্ব শেষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শান্তি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি টিএসসি হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মি. মাইকেল মিলার সম্মানিত অতিথি ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসব-এর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শান্টু বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজল বড়ুয়া এবং মহাসচিব অ্যাডভোকেট রিপন কুমার বড়ুয়া বিশেষ অতিথির দেন। উৎসবের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রিটন কুমার বড়ুয়া স্বাগত বক্তব্য দেন।