দুর্নীতি দমন কমিশনের লোগো
ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানো ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দিশেহারা হয়ে পড়ে দুদক। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর নড়েচড়ে বসে সংস্থাটি। দুদক গত ৮ মাসে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ জব্দ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাড়ি, ফ্ল্যাট, বাণিজ্যিক স্থাপনা ও জমি।
সংস্থাটি জানায়, এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯৫ জন দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়ে ৯২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা এবং বিচারকাজ শুরুর জন্য ১ হাজার ১৬৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক। যেসব দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যাই বেশি। তারপর রয়েছে যথাক্রমে বেসরকারি চাকরীজীবী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধি।
এ দুর্নীতিবাজদের বেশির ভাগ অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ে জড়িত। দুদক সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের বেশি সময়ের শাসনকালে যেসব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরে দুর্নীতি হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে অভিযোগ জমা হতে থাকে দুদকে। কমিশন এসব অভিযোগ যাচাই করে অনুসন্ধানে নামে। গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত আট মাসে সংস্থাটি বিপুলসংখ্যক অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের ও তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে।
গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৫২৫টি অভিযোগের অনুসন্ধান হয়েছে। অনুসন্ধান শেষে ২৯৭টি মামলা দায়ের ও মামলার তদন্ত শেষ করে ২৫৭টি চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়েছে। মামলার ৯২৬ জন আসামি এবং চার্জশিটে ১১৬৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। মোট ২০৯৫ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের নেতৃত্বাধীন কমিশনের যাত্রা শুরু হয়। তার কমিশন চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সেক্টরভিত্তিক দুর্নীতিবাজের পরিসংখ্যান তৈরি করেছে। তাতে দেখা গেছে, জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত ২৯২টি অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। ১৫৩টি অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ৪৭৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবী ১৪৪ জন, বেসরকারি চাকরিজীবী ১১৩ জন, রাজনীতিক ৬০ জন, ব্যবসায়ী ৪৪ জন, জনপ্রতিনিধি ১১ জন এবং অন্যান্য ১০৫ জন। ১১১টি মামলার তদন্ত শেষ করে বিচারিক আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটে ৩৫২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি চাকরিজীবী ২০৩ জন, বেসরকারি চাকরিজীবী ৪৯ জন, ব্যবসায়ী ১৮ জন, রাজনীতিক ৭ জন, জনপ্রতিনিধি ৯ জন ও অন্যান্য ক্যাটাগরির ৬৬ জন। দুদকের গত তিন মাসের মামলা ও চার্জশিটে আসামিদের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবী ৩৪৭ জন, বেসরকারি চাকরিজীবী ১৬২ জন, ব্যবসায়ী ৬২ জন, রাজনীতিক ৬৭ জন, জনপ্রতিনিধি ২০ জন এবং অন্যান্য ক্যাটাগরির ১৭৯ জন।
দুদকের একজন শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশ রূপারন্তরকে বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন কাজের সঙ্গে সরকারের এমপি, মন্ত্রী, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত। বেসরকারি বা অন্য পর্যায়ে যারা কাজ করেন তাদের দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা কম।
এ বিষয়ে দুদকের সাবেক মহাপরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড প্রসিকিউশন) মো. মইদুল ইসলাম বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা বেশি দুর্নীতি করে। তাদের সঙ্গে প্রাইভেট সেক্টরের একটা সম্পর্ক থাকে। তারাই সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতিতে উৎসাহিত করে।
তিনি বলেন, প্রশাসনে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার অভাব আছে, ফলে দুর্নীতি করার সুযোগ হচ্ছে। আমাদের দেশে দুর্নীতি করে কেউ নিগৃহীত হয় না, উল্টো সমাজে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায়। আমাদের দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ দুর্নীতির সহায়ক।
দুদকের তথ্যমতে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর পর্যন্ত সংস্থাটিতে অনুসন্ধানাধীন অভিযোগ ছিল ৪২৮৫টি। এর মধ্যে ৮৬১ অভিযোগের অনুসন্ধান হয়েছে, আরও ৩ হাজার ৩৮৪টি অভিযোগ আছে। চলতি বছরের তিন মাসে নতুন অনুসন্ধান শুরু হয় ২৯২টি অভিযোগের। সব মিলিয়ে চলতি বছরে দুদকের অনুসন্ধানাধীন অভিযোগের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৭৬টি।
বর্তমান কমিশনের আমলে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকসহ সাবেক একাধিক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সিনিয়র সচিব, সচিব, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্লট জালিয়াতির মামলায় ইতিমধ্যে শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের তথ্য গোপনসহ ৮৫ কোটি ৩২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।
২৬ ডিসেম্বর সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মোট ৬৪ কোটি ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৮৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩ হাজার ২২১ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের দায়ে মানিলন্ডারিংয়ের মামলা দায়ের করা হয়।
১২ ডিসেম্বর সাবেক বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও স্ত্রী দেওয়ান আলেয়ার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানির নামে ৬০টি ব্যাংক হিসাবে ৭২৫ কোটি ৭০ লাখ ৪২ হাজার ২৩২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও ৬৭ কোটি ৫৪ লাখ ২২ হাজার ২৫২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করা হয়।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২৯টি ব্যাংকে ৬৬৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
পাবলিক সার্ভেন্ট হয়ে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে চলতি বছরের ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা এবং তাদের ছেলে-মেয়েদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করা হয়। গত ১০ মার্চ তাদেরসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
গত ২৬ জানুয়ারি জামালপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭১৫ টাকার সম্পদ অর্জন ও ১১টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৫২ কোটি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারি সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবীর বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৮৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৫ কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৫ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা হয়। এ ছাড়া তার স্ত্রী তৌফিকা আহমেদের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক হিসাবে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৭ টাকা এবং ২২ হাজার ২৮০ মার্কিন ডলার লেনদেনের অভিযোগে একটি মামলা হয়।
১৬ জানুয়ারি সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম ও তার স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে ২৬টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩১৪ কোটি ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৪ টাকার অবৈধ লেনদেন এবং ৩১ কোটি ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তিনটি মামলা করে দুদক।
২১ জানুয়ারি সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ১২ কোটি ৮১ লাখ ১৪ হাজার ৩৮৯ টাকার সম্পদ অর্জন ও ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩০ কোটি ৪৫ লাখ ৩২ হাজার ৮৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
২২ জানুয়ারি সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার ৯৩৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩৫টি ব্যাংক হিসাবে ১৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার ১১৭ টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংকে প্রায় ৬০ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক।
গত ২২ ফেব্রয়ারি সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৫ টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জন করে নিজ ভোগ দখলে রাখা এবং তার ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৮৬ কোটি ৬৯ লাখ ৩২ হাজার ৭৬৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭২ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ৮৯১ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তার স্ত্রী ডা. মির্জা নাহিদা হোসেনের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ২৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ পুলিশের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন ও তার স্ত্রী নুরজাহান আক্তার হীরার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তাদের ১১টি ব্যাংক হিসাবে ২১ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার ২১৩ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে।
গত ১২ মার্চ ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী নিগার সুলতানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তাদের ব্যাংক হিসাবে ৪৪৯ কোটি ৫৮ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে।
২৪ এপ্রিল রাজশাহী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ২৭ কোটি ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫৮৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৬টি ব্যাংক হিসাবে ২৬০ কোটি ৯৪ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
গত ২৯ এপ্রিল গাজীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৭ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৩টি ব্যাংক হিসাবে ৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ১১৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অপরাধে মামলা হয়েছে।
গত ৪ মে ভবনের স্পেস কেনার নামে ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ও বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। আরও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করছে দুদক।