সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের চাকরিজীবনের নানা কুকীর্তি ধারাবাহিকভাবে লিখেছিলেন সমাজ সংস্কারক, লেখক ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান। ভারপ্রাপ্ত আইনসচিব পদে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেছিলো আদালত। নানা অপকর্মের কারণে হাইকোর্ট তাকে তিরস্কারও করে। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে মিজানুর রহমান খানের একটি অনুসন্ধানী লেখার মধ্যে হাবিবুল আউয়ালের নানা কীর্তির খবর দৈনিক শিক্ষাডটকম-এর পাঠকের সামনে আবারো তুলে ধরা হলো।
“সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ঘোষিত একটি রায় গত ২০ অক্টোবর সমুন্নত করেছেন। এর ফলে বিচার বিভাগত্যাগীর আইনসচিবের পদে অধিষ্ঠান নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়ল।
বিচার বিভাগ পৃথক হলেও বিচার বিভাগের শ্বশুরবাড়ি এখনো মন্ত্রণালয়। সুতরাং মধুর হাঁড়িটা সেখানেই রয়ে গেছে। আইনসচিবের নেতৃত্বাধীন ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) এখনো বহাল। এই ডিপিসি বিচারকদের পদোন্নতির প্যানেল তৈরি করে। এ ছাড়া বিচারকদের বদলি, ছুটি- শৃঙ্খলাবিধানসহ সার্বিক নিয়ন্ত্রণের লাগামটা নির্বাহী বিভাগের কাছেই রয়ে গেছে। সুপ্রিম কোর্টের কর্তৃত্ব আগের চেয়ে ঈষৎ উন্নত হয়েছে মাত্র। মাসদার হোসেন মামলার রায় কেবল বলেছে, উল্লিখিত ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের ‘প্রাধান্য’ থাকবে। কিন্তু প্রাধান্য মানে নির্বাহী বিভাগের ওপর নিশ্চয় তার নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব নয়। উপরন্তু বাস্তবেও এমন কোনো প্রমাণ পাইনি, যাতে মনে হবে, সুপ্রিম কোর্টের ওপর খবরদারি প্রশ্নে সরকার বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি খোঁজে। বরং দেখা যায়, মাতব্বরি করার বাসনাই উদগ্র। এর সব শেষ অকাট্য দৃষ্টান্ত হলো, বিচারপতি নিয়োগের তালিকাটা তাদেরই প্রসব করতে হবে।
আইন মন্ত্রণালয় আইনানুগভাবে বিচারকদের ওপর এখনো পর্যন্ত আগের কায়দাতেই যথেষ্ট মাত্রায় কলকাঠি নাড়াতে পারে। এবং তারা তা অদৃশ্য শক্তির ইঙ্গিতে কিংবা জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে হোক বা না হোক, নাড়িয়ে চলেছে। দৃষ্টান্ত দিচ্ছি।
আইন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (প্রশাসন) পদে জেলা জজ ফারুক আহমেদ অর্ধযুগ ধরে আছেন। সুপ্রিম কোর্টের জিএ কমিটি তাঁকে বদলির সুপারিশ করেছেন এক মাস হলো। কড়া তাগিদপত্র গেছে। এখনো তা উপেক্ষিত। অথচ এর আগে আইজিআর পদ থেকে মাসদার হোসেন, নির্বাচন কমিশন থেকে হারুনর রশীদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লিয়েনে থাকা মাহবুব মোর্শেদকে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ ছাড়াই বদলি করা হয়। হারুনর রশীদকে নির্বাচন কমিশনে রাখতে প্রধান বিচারপতির কাছে লেখা সিইসির চিঠিও কাজে আসেনি। তাঁকে সাত ঘাটের জল পান করিয়ে তবেই পদোন্নতি দেওয়া হয়। আবার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব পদে জেলা জজ আনোয়ারুল হকের পদায়ন এবং ঢাকার জেলা জজ পদে ইশতিয়াক হোসেনের বদলির প্রস্তাব ‘সুপ্রিম কোর্ট’ করা মাত্রই মন্ত্রণালয় তা মানল। আবার রাজশাহীর শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সঙ্গে একটা পুলিশি আচরণ হলো। তাঁকে খুলনায় পাঠিয়ে সপ্তাহ না ঘুরতেই পাঠানো হলো রাজশাহীতে। তাঁর দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে ঢাকার বর্তমান জেলা জজের একটি তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের হাতে আছে। একটি ব্যাংকের ঋণসংক্রান্ত একটি মামলা স্থানান্তরে তাঁর সিদ্ধান্ত যে খুব সন্দেহজনক, তা স্পষ্ট। অবশ্য তাঁর মতে তিনি এটা সরল বিশ্বাসে করেছেন। ওই প্রতিবেদনে আরেকজন বিচারক মো.শামসুল হক নির্দিষ্টভাবে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হন। পরে দেখি এক যাত্রায় দুই ফল। রফিকুল ইসলাম বিচার এসাসিয়েশনের নেতা, মামলার বাদী। তাই তাঁকে শায়েস্তা করা হলো। নেকনজরে থাকা মো. শামসুল হক বহাল তবিয়তে রইলেন। সুপ্রিম কোর্ট তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করার সুপারিশ করলেও তা কার্যকর হয়নি।
আর ঢাকার বর্তমান জেলা জজের খুলনার দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তেও ঢিল পড়ল। তাঁকে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব ছাড়াই সুপ্রিম কোর্টের অত্যুৎসাহে খুলনা থেকে ঢাকায় আনা হলো। এতে কিন্তু সংবিধান বাধা হলো না আবার ওই জেলা জজ ফারুক আহমেদকে কেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও মন্ত্রণালয়ে রাখা হচ্ছে প্রশ্ন তুলুন, আপনাকে হয়তো ১১৬ অনুচ্ছেদ দেখিয়ে দেবে। বলবে ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ’ কি এ রকম কোনো সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টে পাঠিয়েছে? ব্যাপারটা কানাকে হাইকোর্ট দেখানোর মতোই। যাকে যখন যেভাবে তুষ্ট রাখা যায়, গা বাঁচানো যায়, সেমতে সংবিধান ও রেওয়াজের ব্যাখ্যা চলছে। এবং উল্লিখিত কারণেই আইনসচিব পদ নির্বাহী হওয়া সত্ত্বেও আমরা তা আগের মতোই বিচারকদের করতলগত রাখার পক্ষে অন্তর্বর্তী অবস্থান নিয়েছি।
আপাতত যে প্রশ্নটি জ্বলন্ত, তা হলো আইনসচিব পদে কে বসবেন। বিচারবিভাগীয় , না বিচার বিভাগবহির্ভূতরা? কোনো সন্দেহ নেই, আপিল বিভাগ কর্তৃক বিচারপতি খায়রুল হকের রায় সমর্থিত হওয়ায় সেনাসমর্থিত সরকার কর্তৃক আইনসচিব হিসেবে বিচার বিভাগবহির্ভূত সদস্যকে নিয়োগদানের বিতর্কিত প্রক্রিয়াটি নতুন করে এবং আরও দৃঢ়তার সঙ্গে প্রশ্নবিদ্ধ হলো। বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রায় দিয়েছিলেন, ভারপ্রাপ্ত আইনসচিব পদে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নিয়োগ অবৈধ। সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন দুই ধরনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের অস্বাভাবিক তদবিরে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়কে লেখা চিঠিতে তিনি বিনা শর্তে জনাব আউয়ালকে ‘চলতি’ দায়িত্ব দিতে বলেন। আর আইন মন্ত্রণালয়কে তিনি বলেন, ড্রাফটিং উইংকে ডিভিশনে উন্নীত করে কিংবা এই উইংকে জুডিশিয়াল সার্ভিসে একীভূত করা সাপেক্ষে তাঁকে চলতি দায়িত্ব দিতে। প্রধান বিচারপতি যখন এ রকম পরামর্শ দেন, তখন ড্রাফটিং উইংকে ডিভিশনে উন্নীত করার বিষয়টির ওপর স্থগিতাদেশ ছিল। আপিল বিভাগ তা গত ১০ এপ্রিল ভ্যাকেট করেন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি তাঁর কর্মদিবসের শেষ প্রহরে গত ২৯ মে একটি চিঠি লিখে যান আইনসচিবকে। তিন পৃষ্ঠার এই চিঠি পড়ে মনে হয়েছে, এটা একটা চমৎকার অনুশোচনা। এতে তিনি যা বলেন এর সারকথা হলো, সুপ্রিম কোর্ট ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শক্রমেই জারি হয়েছিল ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের নীতিমালা (যা আইনসচিব পদটিকে কেবল বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করেছে)। আপনার মতে, এটি অসাংবিধানিক ও বেআইনি। মাসদার হোসেন মামলার পরিপন্থী। তাই আইনসচিব হয়ে গত ২৯ নভেম্বর আপনি চুপিসারে এটি বাতিল করলেন। আপিল বিভাগে বিষয়টি ‘বিচারাধীন থাকা অবস্থায়’ সুপ্রিম কোর্টকে না জানিয়ে আপনার এই কাজটা কিন্তু ভালো হলো না।
বিচার বিভাগে থাকাকালে আইনসচিব সম্পর্কে বিচারপতি হামিদুল হকের লেখা একটি এসিআর (বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন) দেখলাম। জনাব আউয়ালের ইনকরাপটিবিলিটি বা অদূষ্যতা সম্পর্কে তিনি নিঃসংশয় ছিলেন না। ঢাকার অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে আসামী আওরঙ্গকে তিনি ‘অস্বাভাবিকভাবে’ জামিন দেন। এ জন্য ১১ মার্চ ১৯৯৩ হাইকোর্ট বিভাগের আট পৃষ্ঠার এক রায়ে কঠোরভাবে তিনি তিরস্কৃত হন। ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে ডিজিএফআইর নায়েক আলি আজমকে হোটেল সাকুরার পেছনে গুলি করে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত আওরঙ্গকে জামিন দিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার সন্দেহ হচ্ছে রাষ্ট্রপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবে কি না। তাই তাঁকে জামিন দিলাম।’ বিস্মিত হাইকোর্ট বিভাগ তাঁর এহেন ‘অবাঞ্ছিত পক্ষপাতিত্বের’ জন্য মামলাটি তাঁর আদালত থেকে প্রত্যাহার করেন। কে জানে এসব ঘটনা এবং আরেকটি মামলায় জনাব আউয়ালের অদক্ষতার বিষয়ে তাঁরই নিজের লেখা রায় স্মরণে এনে সাবেক প্রধান বিচারপতি হয়তো বিবেকের দংশন অনুভব করে ওই চিঠি দিয়েছেন। ১৮ নভেম্বর আপিল বিভাগে জনাব আউয়ালকে ভারপ্রাপ্ত সচিব করার বৈধতাসংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে। এতে সাবেক প্রধান বিচারপতির ওই চিঠি উপস্থাপিত হওয়া উচিত।
তাঁর ভারপ্রাপ্ত সচিব হওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুটো রিট হয়েছিল। প্রথম রিট করেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ আফতাব আহমেদ। দ্বিতীয়টি করেন উল্লিখিত জেলা জজ রফিকুল ইসলাম। তিনি এবং হারুনর রশীদ যৌথভাবে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের নীতিমালার ভিত্তিতে কেন বিচার বিভাগের বাইরের লোককে আইনসচিব করা উচিত নয়, তা লিখিতভাবে মন্ত্রিসভা বিভাগকে জানান। আরেকজন জজ এ নিয়ে প্রথম আলোতে নিবন্ধ লিখেছিলেন। এই তিনজনকেই এ জন্য হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
উল্লিখিত প্রথম রিটের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে ১৮ ফেব্রুয়ারি রায় দেন বিচারপতি শাহ নাঈম। এর বিরুদ্ধে দুটো আপিল হয়। জনাব আউয়াল করেছেন একটি, সরকার করেছে একটি। দুটি আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তাকে পূর্ণাঙ্গ আইনসচিব করা হলো। সব সম্ভবের দেশে নৈতিকতার কোনো প্রশ্ন তোলা হলো না। প্রমাণিত হলো, এ দেশে সবার ওপরে সরকার সত্য!
বলা আবশ্যক, ব্যক্তিবিশেষের কোনো পদে থাকা না থাকা নিয়ে আমাদের কোনো শিরঃপীড়া নেই। বিষয়টি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এখানে কেবল মেধা ও যোগ্যতার প্রশ্ন তোলা অপ্রাসঙ্গিক। কারণ আজ যদি বিচার বিভাগের বাইরের কেউ নীতিগতভাবে আইনসচিব পদে টিকে যান, তাহলে এটি নির্বাহী পদ বিবেচনার আপাত যুক্তিপূর্ণ জিগিরটা আরও তীব্র হবে। জনাব আউয়ালকে আইনসচিব করার পক্ষে রাষ্ট্র কর্তৃক আপিল বিভাগে জমা দেওয়া ১০০ পৃষ্ঠার পেপারবুক পড়ে মনে হলো, তাঁদের পুরো যুক্তি বিভ্রান্তিপূর্ণ। এসব যুক্তি হাইকোর্ট বিভাগের দুটো রায়ে এর আগে নাকচ হয়েছে। রাষ্ট্র ধরেই নিয়েছেন বিচার বিভাগ পৃথক্করণ হয়ে গেছে। বিকলাঙ্গ ১১৫ ও ১১৬ অনুচ্ছেদকে [যাতে বলা সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে আদালত] বাহাত্তরের অবস্থায় অক্ষত এবং ৪৮(৩) অনুচ্ছেদকে [প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ফাইল যাওয়া] আন্ধা করে দিয়েছেন ফখরুদ্দীন সরকার [২০০৭-২০০৮]।
তদুপরি, আইনসচিব পদে বাইরের কাউকে নিয়োগে আমাদের কিন্তু আপত্তি থাকবে না, যখন শুনব যে নিম্ন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি ইত্যাদি সংক্রান্ত ফাইল আর শ্বশুরবাড়ি যাবে না। সুতরাং আমাদের লড়াই ও উদ্বেগটা নীতি প্রতিষ্ঠার। যেকোনো চৌকস ভদ্রলোক সেখানে দুর্ঘটনার শিকার হলে আমরা নিরুপায়।
মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পর আপিল বিভাগের পর্যায়ক্রমিক নির্দেশনার পরে বিচার প্রশাসন বিষয়ে আমরা বিচারপতি খায়রুল হক ও বিচারপতি নাঈমের কাছ থেকে দুটো দীর্ঘ রায় পেলাম। কিন্তু আদালতের ওপর ১১৫ ও ১১৬ অনুচ্ছেদের শ্রাদ্ধটা কিন্তু বাকিই থাকল। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের নীতিমালার বাস্তবায়ন বর্জিত ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে আইন মন্ত্রণালয়কে মানা সুপ্রিম কোর্টের একদম সাজে না। এখন তথাকথিত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ১০৯ অনুচ্ছেদকে (হাইকোর্ট নিয়ন্ত্রণ করবে নিু আদালত) ভেংচি কাটছে ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ বর্ণিত সেই হরবোলা পাখির মতোই। আসলে ১১৫ ও ১১৬ অনুচ্ছেদ চতুর্থ ও পঞ্চম সংশোধনীতে যেভাবে রক্তাক্ত ও ব্যান্ডেজ হয়েছে, তা করার এখতিয়ার জাতীয় সংসদের ছিল না। অষ্টম সংশোধনীর ঐতিহাসিক রায় অনুযায়ী ওই সংশোধনী গোড়া থেকে বাতিল ঘোষণার যোগ্য। এই সুযোগ সুপ্রিম কোর্ট অব্যাহতভাবে হাতছাড়া করে চলছেন।