সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় অর্ধলাখ শিক্ষক নিয়োগের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশ করা হতে পারে। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়গুলোর শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ২০ মের মধ্যে নির্ধারিত ছকে ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
বুধবার একটি জেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এ চিঠি পাওয়ার কথা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদের তথ্য চাওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের শূন্যপদের হালনাগাদ তথ্য প্রয়োজন। আগামী ২০ মের মধ্যে নির্ধারিত ছকে ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির মাধ্যমে এ পদগুলো পূরণ করা হবে।
বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৮ হাজার ৪৩টি পদ ফাঁকা রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় শূন্য পদের সংখ্যা ১২ হাজার হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের জন্য ৫ হাজার ১৬৬ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। ফলে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হতে পারে।
জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুযায়ী নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ বিধিমালায় শিক্ষক নিয়োগে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা এবং ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা রয়েছে। নতুন প্রস্তাবিত বিধিমালায় এ তিন কোটার একটি কোটাও থাকবে না। তবে ২০ শাতংশ পদে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।