ভাইভায় অংশ নেওয়া সবাইকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দেওয়ার আদেশ হাইকোর্টের | শিক্ষক নিবন্ধন নিউজ

অষ্টাদশ নিবন্ধন পরীক্ষা ভাইভায় অংশ নেওয়া সবাইকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দেওয়ার আদেশ হাইকোর্টের

বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদ এর বেঞ্চ আজ ২ জুলাই এমন আদেশ দেন। আজ ৩ জুলাই আদেশের কপি পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়েছে রিটকারীদের অবৈধ ও বৈষম্যমূলকভাবে ভাইভায় বাদ দেওয়া দিয়ে গত ৪ জুন ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

#অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন #শিক্ষক নিবন্ধন #ভাইভা #এনটিআরসিএ

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নিবন্ধন সনদ দেওয়ার আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিটকারীদের ‘ষষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশের জন্য বিজ্ঞপ্তি ২০২৫’ এর ই-এপ্লিকেশন পুরণের সুযোগ দিতে বলা হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে আদেশ কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশটির বিপক্ষে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এনটিআরসিএ। একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ভাইভায় অনুত্তীর্ণদের একাংশ রিট আবেদন করেছেন। এর মধ্যে দুটি রিটের শুনানী শেষে আদেশ হয়েছে। মোট কতজন রিট করেছেন তা এখনও জানা যায়নি।

বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদ এর বেঞ্চ ২ জুলাই এমন আদেশ দেন। আজ ৩ জুলাই আদেশের কপি পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়েছে রিটকারীদের অবৈধ ও বৈষম্যমূলকভাবে ভাইভায় বাদ দেওয়া দিয়ে গত ৪ জুন ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে, ভুলেভরা ফল প্রকাশের পর থেকে আন্দোলনকারীদের ভয়ে অফিসে যাচ্ছেন না এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মো. মফিজুর রহমান।

এদিকে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্ত ফলাফলে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা সনদের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবারও সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান নেন তারা। এর আগে গত সোমবার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এসময় কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তারা বলেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চরম বৈষম্যমূলক ফল অবিলম্বে সংশোধন করে আমাদের পাস করানো হোক। তা না হলে হাজার হাজার মেধাবী ও পরিশ্রমী তরুণ শিক্ষকের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে এবং এনটিআরসির ওপর দেশের শিক্ষার্থীরা আস্থা হারাবে।

আরো পড়ুন: শিক্ষক নিবন্ধনে ভাইভার নম্বর যুক্ত না করা কেন অবৈধ হবে না

মানবন্ধনে প্রার্থীরা বলেন, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান হঠাৎ এনবিআর থেকে বদলি হয়ে এনটিআরসিএতে আসেন গত বছরের শেষ দিকে। অফিসের অন্যান্যদের কাউকে কিছু না বলে শুধু শিক্ষা ক্যাডারের দীনা পারভীন ও অপরাপর দুইজনের পরামর্শে এবং বেশি ভাইভা বোর্ডে বেশি সম্মানী নীতিতে চলতে গিয়ে পুরো কার্যক্রম ধ্বংস করে দিয়েছেন। তারা বলেন, চেয়ারম্যানের গোয়ার্তুমিতে ডুবছে এনটিআরসিএ।

প্রার্থীরা বলেন, যেহেতু এনটিআরসিএ লিখিত পরীক্ষায় নিজেদের করা 'প্রশ্নের ধারা ও মানবণ্টন' বহির্ভূত বিকল্প প্রশ্নবিহীন প্রশ্নপত্রে আমাদের পরীক্ষা নিয়েছে এবং সে লিখিত পরীক্ষায় আমরা পাস করে এসেছি এবং আমাদের বেশিরভাগেরই ভাইভার সনদপত্রে ১২ নম্বর রয়েছে তাই মানবিক বিবেচনায় হলেও পাস করানো হোক।

তাদের দাবিগুলো হচ্ছে যেহেতু এনটিআরসিএর বিধিমালায় ভাইভার মোট নম্বরের ৪০ শতাংশ পেলেই পাসের কথা বলা হয়েছে। তাই যাদের সনদপত্র ও প্রশ্নোত্তরের নম্বর মিলে ৪০ শতাংশ বা তার বেশি আছে তাদের সবাইকে পাস করিয়ে নিয়োগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; যেহেতু লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই সনদপত্র প্রদান করা হয় আর ভাইভা অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী যেহেতু লিখিত অংশে ৪০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন।

তাই তাদের সবাইকে ই-সনদ প্রদান করা হোক; যেহেতু এনটিআরসিএ লিখিত পরীক্ষায় নিজেদের করা ‘প্রশ্নের ধারা ও মানবণ্টন’ বহির্ভূত বিকল্প প্রশ্নবিহীন প্রশ্নপত্রে আমাদের পরীক্ষা নিয়েছে এবং সে লিখিত পরীক্ষায় আমরা পাস করে এসেছি এবং আমাদের বেশিরভাগেরই ভাইভার সনদপত্রে ১২ নম্বর রয়েছে তাই মানবিক বিবেচনায় হলেও পাস করানো হোক এবং ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সকল কার্যক্রমে আমাদেরকেও লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকায় যুক্ত করে নিয়োগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক।

বিস্তারিত আসছে.....

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন #শিক্ষক নিবন্ধন #ভাইভা #এনটিআরসিএ