পাবনার ঈশ্বরদীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভাড়া দেয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে শোকজ (কারণ দর্শানো) নোটিশ দিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা। প্রায় দেড় মাস ধরে সোহেল ইঞ্জিনিয়ারিং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যালয়ের মাঠে বড় বড় মালামাল রেখে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. শাহিনা আক্তার এ তথ্য জানান।
স্কুল মাঠ ভাড়া নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন সোহেল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন নামক বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বরতরা। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান।
স্থানীয়দের মতে, স্কুল মাঠটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দখল করে ব্যবহারের কারণে যেকোনো সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা সেখানে অস্থায়ী ঘর বসিয়ে রাত যাপনও করছেন। এতে খেলাধুলায় বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এমনকি, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ অর্থের বিনিময়ে ভাড়া দেয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নীতি-নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এছাড়াও জানা গেছে, আব্দুল হান্নান এর আগে আরো দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছে স্কুল মাঠ ভাড়া দিয়েছিলেন। সেসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে তাদের মালামাল রেখে কাজ করছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজার কিফাত আহমেদ বলেন, ‘আমরা ২৫ হাজার টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ এক মাসের জন্য ভাড়া নিয়েছি। স্কুল কর্তৃপক্ষকে টাকা দিয়েই কাজ করছি।’
তবে, টাকার বিনিময়ে মাঠ ভাড়া দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান। তিনি বলেন, ‘টাকা নিয়ে মাঠ ভাড়া দেয়ার বিষয়টি সত্য নয়। কে বা কারা ভাড়া দিয়েছে, তা আমি জানি না।’
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. শাহীনা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ ভাড়া দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের মাঠ ভাড়া দিয়ে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দিতে হবে।