অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শওকত আনোয়ার। ছবি: সংগৃহীত
আক্কেলপুরে কেজি দরে সরকারি বই বিক্রি করা সেই প্রধান শিক্ষক এলাকাবাসীর তোপের মুখে বিদ্যালয় ছাড়তে বাধ্য হলেন। মঙ্গলবার অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তার অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করলে নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
অভিযুক্ত শওকত আনোয়ার শ্রীকৃষ্টপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিগত বছরের বই ফেরত নেন। গত রোববার সেই বই জালাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। জালাল হোসেন ভ্যান বোঝাই করে বই নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় কয়েক যুবক তাঁকে আটক করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।
নিয়মবহির্ভূতভাবে বইগুলো বিক্রির কথা স্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইমরান হোসেনকে।
মঙ্গলবার শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়ে তদন্ত করতে যান। এ সময় অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। প্রধান শিক্ষকের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যান তদন্তকারী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন।
অভিভাবক দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বই বিক্রি, ভর্তির জন্য টাকা দাবি করা, স্কুল উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎ, প্রাইভেট বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তিনি দুর্নীতিবাজ শিক্ষক। এরকম শিক্ষককে এই প্রতিষ্ঠানে চাই না। তাঁকে দ্রুত অপসারণ করা হোক।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার ঘটনার তদন্ত চলছিল। এ সময় উত্তেজিত অভিভাবকরা তাঁর অপসারণ দাবি করেন। প্রধান শিক্ষকের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাঁকে বিদ্যালয় থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সত্যতা পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।