কক্সবাজারের চকরিয়ায় ফাঁসিয়াখালীর রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে প্রধান শিক্ষকের জুয়া খেলার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চে বসা অবস্থায় প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জুয়া খেলছেন। তার পেছনে ব্ল্যাকবোর্ড ও হাতের ডানপাশে লাল-সবুজ রং করা স্কাউটের বেশকিছু বাঁশ দেখা গেছে।
তবে রোববার (৪ মে) অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এটি একটি পিকনিকের ভিডিও। তিন বছর আগে স্কুল থেকে আমরা মেহেরপুরে পিকনিকে গিয়েছিলাম। ওই সময়ে কে বা কারা খেলা এই ভিডিয়োটা করেছে। মূলত বিদ্যালয়ের একটি চক্র আমার মানসম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য এটা ছড়িয়ে দিয়েছে। আর এটি আমার বিদ্যালয়ের ভিডিয়ো না। আমার বিদ্যালয়ে এ ধরনের কোনো শ্রেণিকক্ষ নেই।’
এর আগে, শুক্রবার (২ মে) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে জুয়া খেলাসহ বহু অভিযোগ আছে। কিন্তু আমরা এতোদিন প্রমাণ পাইনি। এখন তার অপকর্মের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এমন প্রধান শিক্ষকের স্কুলে থাকার কোনো বৈধতা নেই। আমাদের সন্তানরা তার কাছ থেকে কী শিখবে?বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহেদুল মোস্তফা বলেন, ‘রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের জুয়া খেলার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেখেছি। ভিডিওটি দেখার পর বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে তারা এর সত্যতা স্বীকার করেন। প্রধান শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডের বিষয়টি বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধিকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
[insdie-ad-3] চকরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ইউএনও বিষয়টি আমাকে জানালে তাৎক্ষণিক প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের কাছে ফোন করে জানতে চাই। তখন তিনি ভিডিও ফুটেজটি অনেক পুরনো একটি পিকনিকের বলে জানিয়েছেন। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতিকে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।