স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, জুলাই ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন ৮ শতাধিক ও আহত হয়েছেন ১৪ হাজারের বেশি। জুলাই হতাহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশ শ্রমিক ৩০ শতাংশ ছাত্র ছিলেন।
রোববার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, কতজন শহীদ হয়েছেন কতজন আহত হয়েছেন এটার ডাটাবেইজ তৈরি করা চ্যালেঞ্জিং ছিলো। সেটা করতে গিয়ে দেখা গেলো অনেক ভুয়া আহতরা ও নিহতদের নাম এসেছিলো। তারমধ্যে আমরা এটা করেছি।
তিনি বলেন, আন্দোলনে গুরুতর আহত চারজনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে প্রতিটা হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড করা হয়েছিলো। বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা এখানে যাদের হয়নি তাদের বিদেশি পাঠানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, এ পর্যন্ত ৪০ জনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে, এর মধ্যে ২৬ জন ব্যাংককে ১৩ জন সিঙ্গাপুরে ১ জন রাশিয়ায় (ফেসিয়াল ট্রিটমেন্টের জন্য) পাঠানো হয়েছে। আটজনকে নতুন করে বিদেশে পাঠানো হবে।
এ ছাড়াও জুলাই হতাহতদের মধ্যে দুই চোখ হারিয়েছে ২১ জন এবং এক চোখ হারিয়েছে ৪৫০ জন। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) তথ্যানুযায়ী হাত-পা হারানোর সংখ্যা ২১ জন। চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন ৮৯৬ জন।
উপদেষ্টা আরো বলেন, পাকিস্তানের মাইন বিস্ফোরণে আহতদের জন্য বিশেষ হাসপাতাল রয়েছে তাই কিছু জুলাই আহতকে পাকিস্তানে পাঠানো হবে।
আমরা জানতাম না বাংলাদেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নেই। এই অ্যাম্বুলেন্স আনতেহ হয় ব্যাংকক থেকে বা সিঙ্গাপুর থেকে। পরে এক সমন্বয়কের সহযোগিতায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এনে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য নতুন কোনো নীতিমালা ছিলো না। কীভাবে বিদেশে পাঠানো হবে, কীভাবে চিকিৎসা করা হবে।