আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (এএমইউ) প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক নাইমা খাতুনের নিয়োগ বৈধ বলে রায় দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। রিটকারীর অভিযোগ, নাইমা খাতুনের স্বামী অধ্যাপক মোহাম্মদ গুলরেজ ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটিয়েছেন, যা প্রক্রিয়াগত স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতাকে ক্ষুণ্ন করেছে।
শনিবার (১৭ মে) এক রায়ে নাইমা খাতুনের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি অশ্বিনী কুমার মিশ্র ও ডোনাদি রমেশের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ। রিট আবেদনটি করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক মুজাহিদ বেগ।
আদালত রায়ে উল্লেখ করেন, নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, বিধি ও নির্ধারিত পদ্ধতি মেনেই সম্পন্ন হয়েছে এবং গুলরেজের ভূমিকা সীমিত ছিল, যা প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করেনি। আদালত বলেন, ‘এটি একটি বহুস্তরীয় গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া, যা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আদালত আরও স্বীকার করেছে যে, উপাচার্য নিয়োগের চূড়ান্ত কর্তৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। অর্থাৎ ভারতের রাষ্ট্রপতির হাতে। এ নিয়োগে কোনো অসদাচরণ বা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
রায়ে আদালত স্পষ্ট ভাষায় বলেন, অধ্যাপক নাইমা খাতুনের যোগ্যতা প্রশ্নাতীত এবং তাঁর নিয়োগ সর্বোচ্চ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত। ফলে এটি সম্মান ও স্বীকৃতির দাবি রাখে।
২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে নাইমা খাতুন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছরেরও বেশি ইতিহাসে প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়ে নজির গড়েন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী নাইমা খাতুন সাইকোলজি বিষয়ে পিএইচডি করেন এএমইউ থেকেই। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে অধ্যাপক হন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওমেন্স কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।