বেরোবি অধ্যাপকের গবেষণা জালিয়াতি অভিযোগ, উচ্চতর তদন্ত কমিটি | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

বেরোবি অধ্যাপকের গবেষণা জালিয়াতি অভিযোগ, উচ্চতর তদন্ত কমিটি

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলামের যৌথভাবে প্রকাশিত সাতটি গবেষণা আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থা এলসভিয়া তার হাই ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরের একটি জার্নাল সাইন্স অব দি টোটাল এনভাইরোনমেন্ট থেকে প্রত্যাহার করেছে।

#বেরোবি #গবেষণা #জালিয়াতি

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গবেষণা জালিয়াতির অভিযোগে উচ্চতর পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২৮ জুন ১১৩তম সিন্ডিকেট সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীর গবেষণা প্রবন্ধ জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে গত ৪ মার্চ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিলো।

জানা যায়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলামের যৌথভাবে প্রকাশিত সাতটি গবেষণা আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থা এলসভিয়া তার হাই ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরের একটি জার্নাল সাইন্স অব দি টোটাল এনভাইরোনমেন্ট থেকে প্রত্যাহার করেছে।

তবে অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম জালিয়াতির এ অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, এটি এডিটর ও করেসপন্ডিং এর মধ্যকার ইস্যু। এখানে আমাদের বাকি অথরের ভুল নেই। আমরা শুধু রিভিউ করেছি।

এদিকে প্রত্যাহার হওয়া সাতটি গবেষণা পত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ‘পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট-ডেরিভেড পলুশোন ডিউরিং কোভিড-১৯ এরা: এ ক্রিটিক্যাল রিভিউ অব ইকোটোক্সিকোলোজি ইমপ্যাক্ট, ইনটারভেনশন স্ট্র্যাটেজিস এন্ড ফিউচার চ্যালেঞ্জেস’ শিরোনামে প্রকাশিত গবেষণাটিতে ড. তৌফিকুল ইসলামের নাম করসপন্ডিং অথর হিসেবে রয়েছে এবং যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে towfiq_dm@brur.ac.bd ইমেইলটি দেয়া আছে।

গবেষণা পত্রটিতে প্রথম অথর হিসেবে ড. তৌফিকুল ইসলামের ছাত্র মেহেদি হাসান এবং দ্বিতীয় অথর হিসেবে তৌফিকুল ইসলাম নিজেই আছেন, এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ অথর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরই দুইজন শিক্ষার্থীর নাম রয়েছে। গবেষণাটিতে অধ্যাপক আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলামের ভূমিকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি গবেষণাটির মূল ধারণা, ড্রাফট প্রস্তুত, রিভিউ, এডিটিং ও সুপারভাইজর হিসেবে ছিলেন।

এলসেভিয়ারের এ জার্নালের ওয়েবসাইটে গিয়ে আরো দেখা যায়, ভলিউম ৮৮৯-এর ‘ম্যানেজিং দি ইনভিজেবল থ্রেট অব মাইক্রোপ্লাস্টিকস ইন মেরিন ইকোসিস্টেম: লেসন ফ্রম কোস্ট অব দি বে অব বেঙ্গল’ গবেষণাটিও প্রত্যাহার করে নেও হয়েছে।

আর্টিকেলটির ১২ জন অথরের প্রথম চারজনই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের, যার মধ্যে অধ্যাপক আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলামও আছেন। গবেষণাটিতেও অধ্যাপক আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলামের ভূমিকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি গবেষণাটির ড্রাফট প্রস্তুত, রিভিউ, এডিটিং ও সুপারভাইজর হিসেবে ছিলেন।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#বেরোবি #গবেষণা #জালিয়াতি