যেভাবে জবিতে ভর্তি নিশ্চিত হলো চঞ্চলের | ভর্তি নিউজ

যেভাবে জবিতে ভর্তি নিশ্চিত হলো চঞ্চলের

‘শিক্ষার উন্নয়নকে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে আসছি। অদম্য মেধাবীদের সহায়তা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছি। আমার লক্ষ্য, অর্থের অভাবে যেন কারো লেখাপড়া বন্ধ না হয়।’

#জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় #জবি #ভর্তি

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মেধা-তালিকায় ২০২তম স্থান অর্জন করেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান চঞ্চল। কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত হয়েছিলো তার। তবে সেই অনিশ্চয়তা কেটে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) জানা গেছে, চঞ্চলের বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দক্ষিণ চকদাড়িয়া গ্রাম। তার পিতা আব্দুস ছালাম পেশায় একজন দিনমজুর। ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেলেও, ভর্তির টাকা দিতে পারছিলেন না তিনি। পরে বিষয়টি নিয়ে গণবাদ প্রকাশ হয়। সেই সংবাদ নজরে পড়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলামের। এরপর তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী চঞ্চলের হাতে ভর্তি সংক্রান্ত আর্থিক সহয়তা প্রদান করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার উন্নয়নকে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে আসছি। অদম্য মেধাবীদের সহায়তা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছি। আমার লক্ষ্য, অর্থের অভাবে যেন কারো লেখাপড়া বন্ধ না হয়।’

উপজেলা প্রশাসনের এই সহযোগিতা পেয়ে শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চঞ্চল বলেন, ‘ইউএনও স্যার আমার অসহায়ত্বের খবর পেয়ে আমার স্বপ্নপূরনে পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি খুব আনন্দিত ও গর্বিত। আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলে মানুষের পাশে দাঁড়াব ইনশাআল্লাহ।’

চঞ্চলকে সহায়তা প্রদানের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জসিম উদ্দিন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি অফিসার মাহাবুবুল আলম বসুনিয়া, সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার, উপজেলা প্রকৌশলী মো. মেনাজ প্রমুখ।

#জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় #জবি #ভর্তি