শনিবার (১৭ মে) রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে বাসগুলো আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত দেড়টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলে শহরে টিউশনিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে টার্মিনাল এলাকা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় একটি যাত্রীবাহী বাস তার গা ঘেঁষে বিপজ্জনকভাবে চলে যায়। এ সময় সোহেল বেপরোয়াভাবে চালানোর কারণ জানতে চান। কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাসটির চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার বাস থেকে নেমে তাকে মারধর করেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন।
খবর পেয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তবে ওই বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার ততক্ষণে স্থান ত্যাগ করায় সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়নি। পরে রাত ১২টার দিকে স্থানীয় থানা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সমঝোতা বৈঠকে ঘটনাটির নিষ্পত্তি হয়।মো. শামসুজ্জোহা বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অগ্রহণযোগ্য ঘটনা ঘটেছে। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। তবে অভিযুক্তরা তখন ছিল না। পরে প্রশাসন, শ্রমিক প্রতিনিধি, মালিক পক্ষ ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বিষয়টি সমাধান হয়। অভিযুক্তরা ভবিষ্যতে এমন আচরণ করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের দাবি, শুধু মুচলেকা নয়, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে পরিবহনমালিক ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক। পাশাপাশি কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তারা।