এসকল শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছে লোকপ্রশাসন বিভাগের দুইজন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের একজন, বাংলা বিভাগের একজন এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে একজন।
লোকপ্রশাসন বিভাগে ভর্তি হওয়া একজন শিক্ষার্থী অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন ছিলো। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর একটা বড় সমস্যা ভর্তির ১৫ হাজার টাকা এককালীন দেয়া আমার পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে যায়।
তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক সংগঠন ইনস্পায়ার কেয়ার অ্যান্ড কালটিভেট হিউম্যান এইড (আইসিসিএইচএ) সম্পর্কে জানতে পারি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরেই খুব দ্রুততার সঙ্গে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
পরবর্তীতে অনলাইন ভর্তির প্রথম দিনেই তারা নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে ভর্তি করিয়ে দেন। ধন্যবাদ পুরো ইচ্ছা টিমকে, তাদের এই কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে দেশ ও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত হোক, যোগ করেন তিনি।
ইচ্ছার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুরুজ্জামান শুভ বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও কোনো শিক্ষার্থী আর্থিক সংকটের কারণে যেনো ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত না হয় সেটি নিশ্চিত করতেই প্রতিবছর ইচ্ছা কাজ করছে। আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীর নিউজ ভাইরাল হওয়ার পূর্বেই ইচ্ছা তাদের নিকটে পৌঁছে যাচ্ছে।’
ভর্তির পরবর্তী সময়ে এসব শিক্ষার্থীকে নানা ধরনের বৃত্তি ও টিউশন ম্যানেজ করে দিতে ইচ্ছা সহযোগিতা করে থাকে। ইচ্ছাকে যেসব শুভাকাঙ্ক্ষী সহযোগিতা করে থাকেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
ইচ্ছার সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম জানান, খুবই ভালো লাগছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে পেরে। আর্থিক সমস্যার কারণে কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন যেনো হারিয়ে না যায় সেজন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।
প্রসঙ্গত, ইচ্ছা ৫১ ব্যাচ থেকে ৫৪ ব্যাচ পর্যন্ত আর্থিক সংকটে থাকা ১৫ জন শিক্ষার্থীর ভর্তির ব্যয় বহন করেছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে শহিদ আজাদ-রুমী গ্রন্থাগার পরিচালনাসহ নানাবিধ সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে সংগঠনটি।