জুলাই আন্দোলন নিয়ে জর্জিয়ার সিনেটে রেজুলেশন পাস | অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিউজ

জুলাই আন্দোলন নিয়ে জর্জিয়ার সিনেটে রেজুলেশন পাস

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া স্টেট সিনেটে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সমর্থনসূচক রেজুলেশন পাস করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া স্টেট সিনেট বাংলাদেশের ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে।  একইসাথে জুলাই মাসে সংঘটিত ছাত্র আন্দোলনকেও স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশটির স্বাধীনতা দিবস এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫৩ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে গত ৪ এপ্রিল সিনেটের অধিবেশনে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

#জুলাই আন্দোলন #অন্তর্বর্তীকালীন সরকার #আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া স্টেট সিনেটে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সমর্থনসূচক রেজুলেশন পাস করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া স্টেট সিনেট বাংলাদেশের ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে।  

 

একইসাথে জুলাই মাসে সংঘটিত ছাত্র আন্দোলনকেও স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশটির স্বাধীনতা দিবস এবং বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫৩ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে গত এপ্রিল সিনেটের অধিবেশনে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে করে সিনেটের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের একটি ন্যায্য গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার আন্তর্জাতিক মহলে বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

প্রস্তাবটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের জনগণের সাথে আমেরিকানদের গভীর বন্ধুত্বের বন্ধনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

সিনেট আরও উল্লেখ করেছে যে, এই উন্নয়ন যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র সর্বদা বাংলাদেশের পাশে ছিল। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের চিত্র তুলে ধরে প্রস্তাবে বলা হয়, ২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ১০. বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

বিশেষভাবে, প্রস্তাবে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে ছাত্রদের নেতৃত্বে সংগঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং গণতন্ত্রের দাবিতে সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রস্তাবে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং এর পরপরই, ১৯৭২ সালের এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র নবগঠিত রাষ্ট্রটিকে স্বীকৃতি প্রদান করে।

সেই থেকে শুরু করে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, সুশাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় পাঁচ লক্ষ বাংলাদেশি-আমেরিকান বসবাস করছেন, যাদের মধ্যে শুধুমাত্র জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যেই ৩০ হাজারের বেশি নাগরিকের বসবাস।

জর্জিয়া সিনেটের প্রস্তাবে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।

গত পাঁচ দশকে খাদ্য উৎপাদন, দুর্যোগ মোকাবিলা, দারিদ্র্য বিমোচন, নারী ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য শিক্ষা খাতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়, গত এক দশক ধরে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় রেখেছে।

জর্জিয়া সিনেটের সদস্য শেখ রহমান, ইসলাম পার্কেস, হারবিসন, ম্যাংহ্যাম এবং জেমসসহ একাধিক সিনেটর যৌথভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটি আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় এবং সিনেট সচিবকে এর অনুলিপি প্রস্তুত করে জনসাধারণ সংবাদমাধ্যমে বিতরণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই রেজুলেশনটি বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি প্রদানে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

#জুলাই আন্দোলন #অন্তর্বর্তীকালীন সরকার #আমেরিকা