ভারত ও পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনায় এখন পর্যন্ত উভয় দেশের সামরিক ও বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিভিন্ন সূত্রে ভিন্ন ভিন্ন।
তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র থেকে দুই দেশের সামরিক বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানীর একটি চিত্র পাওয়া গেছে। যা দৈনিক শিক্ষার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত ভারত স্বীকার করেছে সামরিক ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় তাদের একজন সেনা নিহত হয়েছেন । আরো দুই জন সেনা আহত হয়েছেন।
এছাড়া একজন বিএসএফ জওয়ান বন্দী। ১টি ড্যাসল্ট রাফায়েল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত (যদিও ভারত এটি নিশ্চিত করেনি)।
আরো পড়ুন: ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে ‘অপারেশন সিন্দুর’
বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় নারী ও শিশুসহ ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত। আহত ৪৩ জন বেসামরিক নাগরিক। এছাড়াও ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে কিছু ঘরবাড়ি ও সম্পদের।
অপর দিকে ভারতের হামলায় পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতি সামরিক তালিকায় কিছু নেই। তবে দেশটি ৫টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করছে (৩টি রাফায়েল, ১টি মিগ-২৯, ১টি সু-৩০)। ভারত এই দাবি নিশ্চিত করেনি।
১টি ভারতীয় ইউএভি ভূপাতিত করারও দাবি আছে পাকিস্তান সরকারের পক্ষে। আছে এক জন ভারতীয় রেঞ্জার বন্দীও।
বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৫৭ জনের বেশি আহত।মসজিদ, ঘরবাড়ি ও অন্যান্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে উল্লেখ করেছে।
লাইন অফ কন্ট্রোল (এলওসি) জুড়ে গোলাগুলিতে উভয় পাশে আরও কিছু ঘরবাড়ি ও সম্পদের ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, চলমান পরিস্থিতিতে হতাহতের সংখ্যা এবং সম্পদের ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এই তথ্য সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে।
উভয় পক্ষই তাদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশে সতর্ক রয়েছে। সাধারণত যুদ্ধের সময় কোন পক্ষেই সঠিক তথ্য প্রদান করেন না।
এটাই যুদ্ধের একটা কৌশলগত অবস্থান। তবু কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিরঞ্জিত করেও যুদ্ধের খবর প্রচার ও প্রকাশ করা হয়।