নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।
সোমবার (১৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে সরকার প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সম্মিলিত নন এমপিও ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এসময় তারা বলেন আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামী ২১ জুন শনিবার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুনরায় লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিসহ আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক প্রিন্সিপাল সেলিম মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টা ও সিনিয়র সচিব গত ১১ মার্চ আমাদের ৭ জন নন এমপিও শিক্ষক প্রতিনিধিকে সচিবালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে সুস্পষ্টভাবে এমপিওভুক্তির ঘোষণা প্রদান করেন। এবং বলেন যে, আপনারা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন, আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ক্যাবিনেট সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে আলোচনা করে আগামী মে মাসের মধ্যে এমপিওর পরিপত্র জারি করবো, আমাদের সাধ্যমত সর্বাধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা নিবো এবং আগামী জুলাই মাস থেকে বেতন ধরা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে সরকারের প্রতিশ্রুত এমপিওভুক্তির কাজের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি দেখতে না পেয়ে নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশ।আরো বলেন, এমন অবস্থায় আমরা সারাদেশের ননএমপিও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে সরকারের নিকট অবিলম্বে সব নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তকরণের জোর দাবি জানাচ্ছি এবং আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামী ২১ জুন শনিবার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুনরায় লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিসহ আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত নন এমপিও ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যক্ষ নাজমুস সাহাদাত আজাদী, মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যক্ষ দবিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. মনিমুল হক, যুগ্ম সমন্বয়ক অধ্যক্ষ ইমরান বিন সোলায়মান, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. সাজ্জাদ হোসেন, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. আব্দুস সালাম, সমন্বয়ক মো. আবতাবুল আলম, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহ, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান, সমন্বয়ক আবু বক্কর মো. এরশাদুল হক, সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বাবুল, সমন্বয়ক সুপার ফরহাদ হোসেন বাবুল সহ বিভিন্ন জেলার শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।