শিক্ষকদের বেতন কম হলে ধান্দাবাজি চলবেই: অধ্যাপক মামুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেছেন, আমি ভেবে পাই না যিনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনিই কীভাবে তার নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্টটাইম শিক্ষক হন। শিক্ষকদের বেতন কম হলে এইরকমভাবে ধান্দাবাজি চলবেই। এইটা বন্ধ না করলে দেশে ধান্দাবাজির চাষাবাদও চলবেই। আর বন্ধ করতে হলে শিক্ষকদের উন্নত স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের বিকল্প নেই। অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন কোনো কার্যকর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ বা সমন্বয় কাঠামো নেই।

সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক মামুন বলেন, কোনো বিভাগে যদি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী শিক্ষক থাকেন, তাহলে সেই বিভাগ অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ, ভালো মানের ল্যাব কিংবা বেশি সুবিধা পেয়ে যেতে পারে, অথচ অন্য বিভাগ সেসব থেকে বঞ্চিত হয়।

এই সমস্যাগুলোর অনেকটাই সহজে সমাধান করা সম্ভব হতো একটি ‘শেয়ারিং অ্যান্ড কেয়ারিং’ সংস্কৃতির মাধ্যমে। যেমন, প্রতিটি অনুষদে একটি করে লেকচার থিয়েটার থাকতে পারত, যেখানে সংশ্লিষ্ট অনুষদের সব বিভাগের ক্লাস একটি কেন্দ্রীয় রুটিন অনুযায়ী পরিচালিত হতে পারত। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গার অপচয় কমে যেত এবং স্থান ব্যবহারের দক্ষতা বাড়ত।

এই লেকচার থিয়েটারে বিভিন্ন মাপের শ্রেণিকক্ষ, অডিটোরিয়াম, ইনডোর খেলাধুলার জায়গা, ক্যাফেটেরিয়া, এমনকি ছোট দোকানও থাকতে পারত। এর ফলে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সামাজিক মেলবন্ধন গড়ে উঠত।

অধ্যাপক মামুন বলেন, কিন্তু বর্তমানে, প্রতিটি বিভাগ এতটাই স্বতন্ত্রভাবে পরিচালিত হয় যে অনেক শ্রেণিকক্ষ অব্যবহৃত বা খুব কম ব্যবহৃত থেকে যায়। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গার অপচয় হয় এবং সেইসঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও ব্যাহত হয়। এইসব সভ্য সিস্টেম যদি বিশ্ববিদ্যালয়েই চর্চিত না হয় তাহলে দেশ থেকে এইসব কীভাবে আশা করবো?

অধ্যাপক মামুন আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ এখন যেনো একটি স্বায়ত্তশাসিত একক প্রতিষ্ঠানের মতো কাজ করছে। প্রতিটি বিভাগের রয়েছে নিজস্ব শিক্ষক, নিজস্ব শ্রেণিকক্ষ, নিজস্ব ল্যাব এবং যন্ত্রপাতি। এই অবকাঠামো, শিক্ষক কিংবা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অন্য কোনো বিভাগের সঙ্গে ভাগাভাগি করা হয় না।

আমরা যখন শিক্ষার্থী ছিলাম, তখন গণিত, রসায়ন, ও পরিসংখ্যানের মতো বিষয়গুলো আমাদের সাবসিডিয়ারি বিষয় হিসেবে ছিল। ওই বিভাগের শিক্ষকরাই আমাদের ক্লাস নিতেন, এবং এটি তাদের একাডেমিক দায়িত্বের অংশ ছিলো। সেই ন্যূনতম পর্যায়ের আন্তঃবিভাগীয় সহযোগিতাও এখন আর দেখা যায় না। বর্তমানে, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় #কামরুল হাসান মামুন #ঢাবি #বেতন