পরিবর্তন না এলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নয়, ভোটার নিয়োগ হতেই থাকবে: অধ্যাপক মামুন | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

পরিবর্তন না এলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নয়, ভোটার নিয়োগ হতেই থাকবে: অধ্যাপক মামুন

সারা বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ হয় ন্যূনতম ৩ থেকে ৪টি স্তরে। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় উপাচার্য বা উপ উপাচার্যের উপস্থিতিতে ২০ মিনিটের একটি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে। যতদিন না ইউনিভার্সিটির নিয়োগ প্রক্রিয়া ইউনিভার্সাল হবে ততদিন শিক্ষক নিয়োগের বদলে ভোটার নিয়োগ হতেই থাকবে

#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় #কামরুল হাসান মামুন #শিক্ষা উপদেষ্টা #উপদেষ্টা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেছেন, সারা বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ হয় ন্যূনতম ৩ থেকে ৪টি স্তরে। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় উপাচার্য বা উপ উপাচার্যের উপস্থিতিতে ২০ মিনিটের একটি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে। যতদিন না ইউনিভার্সিটির নিয়োগ প্রক্রিয়া ইউনিভার্সাল হবে ততদিন শিক্ষক নিয়োগের বদলে ভোটার নিয়োগ হতেই থাকবে।

রোববার বিকেলে নিজের ভেরিফাইয়েড ফেসবুক আইডির এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক মামুন বলেন, ‘বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের বদলে ভোটার নিয়োগ হয়েছে’: শিক্ষা উপদেষ্টা। খুবই সত্য কথা বলছেন। শুধু বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে না। এর আগে বিএনপি এবং বিএনপি-জামাত সরকারের আমলেও শিক্ষক নিয়োগের পরিবর্তে ভোটার নিয়োগ করা হয়েছে। তবে গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ সরকার শিক্ষক নিয়োগের বদলে ভোটার নিয়োগকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। শিক্ষক নিয়োগের নানা ফন্দি ফিকির তারা আবিষ্কার করেছে। এই জন্য তারা নতুন নতুন বিভাগ খুলেছে। ২০০৯ এর আগের গত ৫০ বছরে যত বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা হয়েছিলো আওয়ামীলীগ সরকার তার ১৫ বছরের আমলে তার চেয়ে বেশি বিভাগ খুলেছে। এরা দেশকে এতটাই ভালোবেসেছিলো।

অধ্যাপক মামুন বলেন, তারা এতো ভোটার নিয়োগ দিয়েছে যে গত বছর বর্তমান প্রশাসন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন করতে পর্যন্ত সাহস পায়নি। সাধারণত ডিসেম্বর মাসে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয় কিন্তু ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে কোনো নির্বাচন হয়নি। হয়ত অপেক্ষা করছে এমন পরিস্থিতির যে পরিস্থিতিতে তারা যথেষ্ট সংখ্যক ভোটার নিয়োগ দিতে পারবে এবং তারপর শিক্ষক সমিতির নির্বাচন দেবে। এর অর্থ কি? এর অর্থ হলো ভোটার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবেই। শুধু জাতীয় নির্বাচন শেষে দলীয় সরকারকে ক্ষমতায় আসতে দিন তারপর দেখবেন।

কিন্তু আমরাতো এইটা চাই না। এইজন্য কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই এইটা নিয়ে ৫ আগস্টের পর সভা সেমিনারে এবং ফেসবুকে অনেকবার বলেছি ও লিখেছি। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোনো পরিবর্তন হয়েছে? প্রশ্ন রাখেন তিনি।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় #কামরুল হাসান মামুন #শিক্ষা উপদেষ্টা #উপদেষ্টা