ছবি : সংগৃহীত
স্কুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করেছিল নেদারল্যান্ড। তার ফলও পেয়েছে। দেশটিতে পড়াশোনার পরিবেশ উন্নত হয়েছে বলে সাম্প্রতিক এক সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে।
নেদারল্যান্ডসের সেকেন্ডারি স্কুলগুলো জানিয়েছে, এখন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বেশি মনোযোগী হতে পারছেন, সামাজিক পরিবেশও আগের চেয়ে ভালো হয়েছে এবং কিছু স্কুল জানিয়েছে, ফলাফলেও উন্নতি হয়েছে।
২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে ক্লাসে ফোন নিষিদ্ধের জাতীয় নির্দেশনা জারির পর বেশিরভাগ স্কুলই সেটি মেনে নিয়েছে। এখন দেশটির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সেকেন্ডারি স্কুলে শিক্ষার্থীদের ফোন বাসায় রেখে আসতে বলা হয় বা লকারে রাখতে হয়। প্রতি পাঁচটি স্কুলের একটিতে ক্লাস শুরুর আগে ফোন জমা দিতে হয়।
গবেষক ড. আলেকজান্ডার ক্রেপেল বলেন, 'সবচেয়ে ভালো উন্নতি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগে। এখন আর কেউ লুকিয়ে কারও ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়াতে পারে না—এটা একটা বড় সামাজিক নিরাপত্তা। আগের মতো ব্রেক টাইমে সবাই ফোনে ডুবে থাকে না, এখন কথা বলতে হয়। মাঝে মাঝে ঝগড়া হলেও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলছে, এখন পরিবেশ অনেক ভালো।'
নেদারল্যান্ডসে ক্লাসে মোবাইল নিষিদ্ধের বিষয়ে শুরুতে স্কুল, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তবে এখন সবাই বেশ সন্তুষ্ট, এমনটাই জানিয়েছেন ভিও-রাদ (মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল) মুখপাত্র ফ্রেয়া সিক্সমা।
তিনি বলেন, 'শুরুতে অনেক প্রশ্ন ছিল—এটা কীভাবে কাজ করবে, কে মানবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সবাই আসলে খুশি।'
গবেষণায় দেখা গেছে, বিশেষায়িত কিছু স্কুলে যদিও বিশেষ সহায়তার জন্য মাঝে মাঝে মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়, তবুও এসব স্কুলের অর্ধেকের বেশি জানিয়েছে—নিষেধাজ্ঞার ফলে ভালো প্রভাব পড়েছে।
দেশটির প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি এডুকেশন মন্ত্রী মারিয়েলে পল বলেন, এই জাতীয় নির্দেশনা শ্রেণিকক্ষে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করেছে। আগে কোনো শিক্ষক ব্যক্তিগতভাবে ফোন নিষিদ্ধ করতে চাইলে তা নিয়ে বিতর্ক হতো। বিশেষ করে নতুন শিক্ষকরা সেটি প্রয়োগ করতে হিমশিম খেতেন।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।