ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনার উদ্যোগ | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনার উদ্যোগ

সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং ইউজিসির কার্যক্রম একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা প্রয়োজন। এজন্য একটি সমন্বিত সফটওয়্যার দরকার।

#বিশ্ববিদ্যালয় #ইউজিসি

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য যৌথ ইআরপি সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে ইউজিসি।

হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পের অধীনে শিগগিরই এই সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, গবেষণা, অ্যাক্রিডিটেশন, প্রকল্প প্রস্তাব, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও প্রোফাইলসহ ইউজিসির বিভিন্ন কার্যক্রমের তথ্য থাকবে।

সোমবার ইউজিসি-ইআরপি সফটওয়্যার আর্কিটেকচার ও ডিজাইনের ওপর বিশেষজ্ঞ মতামত কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। ইউজিসি কার্যালয়ে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন। ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। এছাড়া, অনুষ্ঠানে ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, হিট প্রকল্পের পরিচালক প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান এবং বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিরেন) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌরিত বক্তব্য দেন।

ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ফায়েজ বলেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং ইউজিসির কার্যক্রম একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা প্রয়োজন। এজন্য একটি সমন্বিত সফটওয়্যার দরকার। এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি কার্যকর পদ্ধতি তৈরি হবে। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসির তথ্য সহজে জানা সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বিশেষ অতিথি প্রফেসর তানজীমউদ্দিন খান বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য এ ধরনের একটি সফটওয়্যার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠুভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নির্ভুল তথ্য এবং তথ্যে অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত দরকার। এই সফটওয়্যার চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত জনবলের সংখ্যা, জনবলের চাহিদা, বিভাগের সংখ্যা, নতুন বিভাগ খোলার প্রয়োজনীয়তা নির্ণয় এবং চাহিদা অনুসারে বাজেট তৈরি করা সম্ভব হবে।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর সাইদুর রহমান বলেন, ইউজিসি এবং দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। এতে সময়ের অপচয় হয় এবং তথ্য চাহিদানুসারে ব্যবহার করা সম্ভব হয় না।

তিনি বলেন, ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে একটি অভিন্ন প্লাটফর্মে নিয়ে আসার জন্য একটি ইউনিভার্সাল মডিউল তৈরি করা হবে। ব্যবহারোপযোগী সফটওয়্যার হিসেবে এটি দেশে একটি অনন্য নজির স্থাপন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইআরপি সফটওয়্যারের আর্কিটেকচার ও ডিজাইনের ওপর মূল্যবান মতামত দেয়ায় সফটওয়্যার পেশাজীবী ও ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#বিশ্ববিদ্যালয় #ইউজিসি