শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়ের। ছবি : সংগৃহীত
শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য সরাসরি শিক্ষা সচিব বরাবর আবেদন না করার নির্দেশ দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।
বুধবার (২১ মে) এই সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সকল সংস্থায় পাঠানো হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছিল যে, মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত বিভিন্ন অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদস্যগণ তাদের ব্যক্তিগত অভিযোগ, এমপিও সংক্রান্ত আবেদন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটিসহ অন্যান্য জটিলতার সমাধানের জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সরাসরি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে আবেদন করছেন।
জারি করা পরিপত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অফিসগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সভাপতি-সদস্যদের বিধি বহির্ভূতভাবে ব্যক্তিগত অভিযোগ অথবা এমপিও সংশ্লিষ্ট আবেদনসহ অন্যান্য আবেদন সরাসরি মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার কোনো বিধিগত সুযোগ নেই। এই ধরনের সরাসরি আবেদনের কারণে মন্ত্রণালয়ের দৈনন্দিন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এমপিও এবং অন্যান্য সমস্যার সমাধানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে যে, সরকারি বিধিবিধান অনুযায়ী যে সকল চিঠি আসবে, সেগুলোর ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ, সরকারি নিয়ম মেনে আসা চিঠিপত্র যথানিয়মেই গ্রহণ করা হবে।
এই নির্দেশনার মূল উদ্দেশ্য হলো, একটি সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলো সমাধান করা। মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত বিভিন্ন স্তরে সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে।
সরাসরি সচিব বরাবর আবেদন করার ফলে সেই স্তরগুলো বাইপাস করা হয়। এতে করে দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করলে, সমস্যাগুলো দ্রুত এবং সঠিক উপায়ে সমাধানের সুযোগ তৈরি হয়।
এই পরিপত্র জারির ফলে আশা করা যায়, শিক্ষক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিরা তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করবেন।
এর ফলে মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কাজ যেমন সহজ হবে, তেমনি সমস্যাগুলো সমাধানেও গতি আসবে।
সরাসরি আবেদন করার প্রবণতা কমলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাদের নিয়মিত কাজের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন এবং সেবা প্রদান আরও উন্নত হবে।
সিনিয়র সচিবের এই নির্দেশনা নিঃসন্দেহে একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে শিক্ষা প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে জবাবদিহিতা এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায় বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
তাদের মতে শিক্ষক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের উচিত এই নির্দেশনা মেনে চলা। তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা।
এটি শুধুমাত্র মন্ত্রণালয়ের কাজের চাপ কমাবে না, বরং সমস্যা সমাধানে একটি সুস্পষ্ট এবং কার্যকর পথ তৈরি করবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।