অনেক মাদরাসা শিক্ষকের বেতন-ভাতা এখনো বন্ধ | মাদরাসা নিউজ

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশের থোড়াই কেয়ার অনেক মাদরাসা শিক্ষকের বেতন-ভাতা এখনো বন্ধ

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশের থোড়াই কেয়ার

#মাদরাসা

হাসিনা সরকারের পতনের পর স্কুল-কলেজের মতো মাদরাসা শিক্ষকদেরও বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। তারাও হেনস্তার শিকার হন। পরে এসব ‘অযথা’ হেনস্তার শিকার শিক্ষকদের কষ্ট লাঘবে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (ইআবি) বেতন-ভাতা চালু রাখার আদেশ দেয়। সেই আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেতন-ভাতা এখনো বন্ধ অনেক মাদরাসা শিক্ষকের।

এ অবস্থায় সীমাহীন কষ্টে দিন পার করছেন তারা। কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। রাজনৈতিক প্রভাবে যারা নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়েছেন তারা বলছেন, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ না হলে বেতন নয়। তাই হেনস্তার শিকার শিক্ষকরা মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দৈনিক আমাদের বার্তাকে কয়েকটি বিভাগের মাদরাসা শিক্ষকরা এমটাই জানিয়েছেন।

শিক্ষকরা জানান, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদরাসার শিক্ষকদের মধ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ ও সহকারী শিক্ষকদের কাজে বাধা দিয়ে আসছিলো। দেশ স্বাধীনের পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এরকম নৈরাজ্য পরিস্থিতি কেউ কখনো দেখেনি। তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর এক আদেশ জারি করে হেনস্তার শিকার শিক্ষকদের বিষয়ে। এতে কিছুটা হলেও শিক্ষার পরিবেশের উন্নতি হয়।

পরে চলতি বছরের ১৪ ও ২০ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ স্কুল ও কলেজ শাখা থেকে পর পর দুটি আদেশ জারি করে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালু রাখার বিষয়ে। এই আদেশের ফলে দেশের ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষক বেতন-ভাতা পাওয়া শুরু করেন। আবার এখনো অনেক শিক্ষক বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত, যোগ করেন তারা।

অনেক মাদরাসা শিক্ষকের বেতন-ভাতা এখনো বন্ধ

অনেক মাদরাসা শিক্ষকের বেতন-ভাতা এখনো বন্ধএ অবস্থায় বিপাকে পড়েন দেশের মাদরাসার হেনস্তার শিকার অধ্যক্ষসহ অনেক শিক্ষক। কারণ, তাদের ব্যাপারে ওই সময় পর্যন্ত মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর বা ইআবি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ইআবি এই পরিস্থিতি উপলব্ধি করে মব-জাস্টিসের শিকার শিক্ষকদের বিষয়ে আদেশ জারি করে বেতন-ভাতা চালু রাখার জন্য। এতে দেশের বিভিন্ন মাদরাসার হেনস্তার শিকার কিছু শিক্ষকের বেতন-ভাতা চালু রাখার সংবাদ পাওয়া গেছে। কিন্তু কিছু মাদরাসায় যারা অধ্যক্ষকে সরিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বনে গিয়েছেন ও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তারা এসব আদেশের তোয়াক্কা করেন না। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেতন-ভাতা ছাড় দিচ্ছেন না। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশের কথা বলছেন তারা।

মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ পেলে হেনস্তার শিকার শিক্ষকরা বেতন-ভাতা পেতে পারেন এমন কথাই বলছেন তারা।

হেনস্তার শিকার শিক্ষকদের কর্মস্থলে গিয়ে পাওয়া যায় ভিন্ন খবর, মূলত যেসব প্রতিষ্ঠানে দূর থেকে এসে প্রধান হয়েছেন এবং যেখানে স্থানীয় সিনিয়ির শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রধান হওয়ার সুযোগ রয়েছে সেখানেই হেনস্তার শিকার হয়েছেন বেশি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছু কামিল ফাজিল মাদরাসার শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কারণ, যিনি সিনিয়র হিসেবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়েছেন তিনি একজন জেনারেল শিক্ষক ও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তিনি মাদরাসায় আসেন নামে মাত্র সপ্তাহে একদিন তাও কয়েক মিনিটের জন্য। কারণ, তিনি খুবই ব্যস্ত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক আমাদের বার্তাকে একজন কামিল মাদরাসার শিক্ষক বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খুবই ব্যস্ত। কারণ, তাকে নাকি একটি জেলার সব মাদরাসার সমস্যা দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাই তিনি ঠিকমত মাদরাসায় আসেন না।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল   SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।

#মাদরাসা