ছবি : সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইসরায়েল ইরানের ভেতরে একযোগে বহু পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। জবাবে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পাল্টা আঘাত হানার চেষ্টা করলে জর্ডান তার আকাশসীমায় এসব হামলা প্রতিহত করে বলে জানিয়েছে।
এদিকে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান থেকে ছোড়া ড্রোনের মোকাবেলায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইসরায়েল ও জর্ডানের সেনাবাহিনী। শুক্রবার ভোরে ইরানের হামলার জবাবে ইসরায়েল ড্রোন প্রতিহত করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম ও চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, সৌদি আরবের আকাশসীমায়ও ড্রোন প্রতিরোধ অভিযান চলছে।
অন্যদিকে, জর্ডানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, আজ সকালেই তাদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়া বেশ কিছু ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র তারা সফলভাবে প্রতিহত করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় পুরো অঞ্চলজুড়েই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরানে তারা ‘ডজন খানেক পারমাণবিক ও সামরিক টার্গেটে’ আঘাত হেনেছে। এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানের হাতে এখন এমন উপাদান আছে, যাতে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ১৫টি পারমাণবিক বোমা তৈরি সম্ভব।’
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, রাজধানী তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সারা দেশে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। ইসরায়েল সম্ভাব্য পাল্টা হামলার আশঙ্কায় দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দুইজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ইসরায়েলের এই হামলায় ওয়াশিংটনের কোনো সরাসরি ভূমিকা বা সহযোগিতা নেই।
তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ে হোয়াইট হাউসে জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠক আহ্বান করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানে হামলা হতে পারে। তবে আমরা এখনও শান্তিপূর্ণ সমাধান দেখতে চাই।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান টানাপড়েনের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের এই আগ্রাসন নতুন করে বড় ধরনের যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সূত্র : দ্য হিন্দু ও আল জাজিরা