কোনো অজুহাতে শিক্ষায় বরাদ্দ কমানো গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে অধ্যাপক মামুন এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যা অবস্থা দেখছি তাতে প্রায় নিশ্চিত আগামী বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ছে না। তাহলে কিসের জন্য এতো কিছু? যেই খাত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেই খাতকেই সবচেয়ে অবহেলা কোন ভালো সরকারের লক্ষণ হতে পারে না। প্রথমেই শিক্ষা সংস্কার কমিশন না করে সরকার একটা বার্তা ইতিমধ্যেই দিয়ে রেখেছিল শিক্ষা তাদের প্রায়োরিটির মধ্যে নাই। আগামী বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ না বাড়িয়ে কফিনে শেষ পেরেকটা এই সরকার নিশ্চিতভাবেই মারছে।
অধ্যাপক মামুন বলেন, কোনো অজুহাতে শিক্ষায় বরাদ্দ কমানো গ্রহণযোগ্য না। ডিফেন্সসহ অন্য সব ক্ষেত্রে বরাদ্দ কাটছাঁট করেন কিন্তু শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে কাটছাঁট অগ্রহণযোগ্য। কারণ শিক্ষাই হলো এই জাতির প্রধানতম সমস্যা।
এর আগের সরকার ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বরাদ্দ কমাতে থাকে। সেই খ্রিষ্টাব্দে জিডিপির ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ শিক্ষায় বরাদ্দ দিয়েছিল। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে কমাতে চলতি বছরে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ করে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার এবং তারা ভোগ করছে, বলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে কম বরাদ্দ দিলে দেশ থেকে কত অর্থ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিদেশে চলে যায় সেই অংকটা কি সরকার কষে দেখেছে? এছাড়া এর যে ক্যাসকেডিং ইফেক্ট আছে তা কি ভেবে দেখেছে? আজকে সারা দেশে যেই অরাজগতা দেখছি তার কারণতো মানসম্মত শিক্ষার অভাব? আজকে এতো বেকার দেখছি তার কারণতো মানসম্মত শিক্ষার অভাব? আজকে যে পরিবেশ দূষণ থেকে শুরু করে দুর্নীতি পাচার ইত্যাদি দেখছি এই সবের পেছনের কারণতো মানসম্মত শিক্ষার অভাব?
তিনি আরও বলেন, হ্যা টাকার অংকে বরাদ্দ প্রতিবছর বেড়েছে। সেটা ইনফ্লেশন, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন যেমন যেখানে সেখানে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বানানো ইত্যাদির কারণে। তাছাড়া শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানো দেখাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এমন কি স্বাস্থ্য খাতের অনেক বরাদ্দকেও শিক্ষায় দেখানো হয়। শিক্ষায় যখন এইসব ভাঁওতাবাজি চলে সেখানে দেশে সততা কিভাবে আশা করবেন?