জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী আফসানা রাচির মৃত্যুর ঘটনায় আটক রিকশাচালক আরজু মিয়াকে নির্দোষ দাবি করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তার পরিবার। তারা অভিযোগ করেন রাচির মৃত্যুর ঘটনায় রিকশাচালক জড়িত ছিলেন না, তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফাঁসিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
আরজু মিয়ার মেয়ে আরজিনা আক্তার বলেন, ‘আমার বাবা একজন টেইলারিং কাটিং মাস্টার। পাশাপাশি তিনি পুরাতন অটোরিকশা কিনে সেটাকে রং এবং সংযোজন-বিয়োজন করে লাভে বিক্রি করেন। যেদিন জাবি শিক্ষার্থী রাচি রিকশার ধাক্কায় নিহত হন, সেদিন আমার বাবা সেখানে ছিলেন না। যখন অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে তখন আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ৫০ বাজে। সে সময় আমার বাবা একটি দোকানে বসে ছিলেন, যার সিসিটিভি ফুটেজ আমরা উপস্থাপন করেছি।’
আটক রিকশাচালক আরজু মিয়ার স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা প্রভাবশালী নই বলে আমাদের সঙ্গে যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করা হচ্ছে। কয়েকবার ভিসি স্যারের দফতরে গিয়েছি। আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। একজনের কাছে গেলে আরেকজনের কাছে যেতে বলে। এভাবে গত তিনমাসে অনেক দফতর ঘুরেছি। আমার স্বামী খুবই অসুস্থ। আমি তার মুক্তি চাই। আমাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিচার চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, এ বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে তাই মন্তব্য করতে পারছি না। তবে আমরা নিশ্চিত করবো নিরপরাধ কেউ যাতে শাস্তি না পায়।