‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্যে আটকে আছে জবির কাজ’ | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্যে আটকে আছে জবির কাজ’

আন্দোলনের আগে যে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য ছিলো সেটা আজও স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস এবং অস্থায়ী হলের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে অথবা তার পরের সপ্তাহে আরডিপি অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পাঁচ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের আগে মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে যেভাবে লালফিতার দৌরাত্মে কার্যক্রমগুলো অগ্রসর হতো না ঠিক বর্তমান সময়েও একই ধারার কার্যক্রম চলছে অব্যাহত রয়েছে। এই লালফিতার দৌরাত্মেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজ আটকে আছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ, হল নির্মাণ, আবাসন ভাতা, জকসু নিবাচন, সমাবর্তন এবং জুলাই আন্দোলনে আহতের চিকিৎসা ও নিহতের ঘটনায় দোষীদের বিচার সংক্রান্ত বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেকনে শিক্ষার্থীরা বলেন বলেন, আন্দোলনের আগে যে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য ছিলো সেটা আজও স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস এবং অস্থায়ী হলের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে অথবা তার পরের সপ্তাহে আরডিপি অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর মধ্যে একটি যৌথ মিটিংয়ের মাধ্যমে সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আবাসন ভাতার বিষয়ে তারা (বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন) পূর্বের রিভাইসড বাজেটে প্রস্তাব পাঠিয়েছে, তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বা অনুমোদন আসেনি। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ও ভাতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া জকসু নির্বাচনের যে খসড়া, তা এখনো সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়নি। খসড়াটি প্রস্তুত হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা ইউজিসির মাধ্যমে অনুমোদনের প্রক্রিয়া শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।

সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম ও সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষে মো. রাশিদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।