আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে ২৮ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী | বিবিধ নিউজ

আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে ২৮ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী

বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রায় পাহাড় ও সমতলের ২৮টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।

#নববর্ষ #চারুকলা

‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ স্লোগানে ১৪৩২ সনের বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রায় পাহাড় ও সমতলের ২৮টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। তারা নিজ নিজ সংস্কৃতির প্রতীক ও ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে শোভাযাত্রাকে আরও বর্ণিল করে তুলেছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও জাতিগত সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, টিএসসি, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে পুনরায় চারুকলায় গিয়ে শোভাযাত্রাটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

শোভাযাত্রায় সাতটি বড়, সাতটি মাঝারি ও সাতটি ছোট মোটিফসহ মোট ২১টি মোটিফ প্রদর্শিত হয়। এবারের শোভাযাত্রার মূল মোটিফ হলো ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’। তাছাড়া পায়রা, মাছ, বাঘ ও মুগ্ধর আলোচিত পানির বোতল প্রদর্শিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, নৃত্য ও বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে শোভাযাত্রাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। এটি বাংলাদেশের বহুজাতিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন। এমন উদ্যোগ দেশের সাংস্কৃতিক ঐক্য ও বৈচিত্র্যকে উদযাপন করে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়।

এবারের আয়োজনে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১৯৮৯ সালের মূল নামে ফিরেছে এ আয়োজন। আয়োজকদের মতে, এই পরিবর্তন শোভাযাত্রাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ করে তুলেছে।

#নববর্ষ #চারুকলা