জাবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে ভ্রূণহত্যার অভিযোগ | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

জাবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে ভ্রূণহত্যার অভিযোগ

‘অভিযুক্ত ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের সন্তান হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।'

#বিশ্ববিদ্যালয় #জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জোর করে ভ্রূণহত্যার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের সন্তান হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।

বুধবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলে এ ঘটনার বিচার চেয়ে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

অভিযুক্ত ছাত্র হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সৈয়দ শাহ শাফায়াত ঋদ্ধ। ঋদ্ধ শাখা ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একজন শিক্ষকের ছেলে।

তবে অভিযোগের বিষয়ে সৈয়দ শাহ শাফায়াত ঋদ্ধ বলেন, আমার নামে করা অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। মেয়েটি আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে। সম্পর্ক শেষ করায় মেয়েটি নানাভাবে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

গত বছর ২০ এপ্রিল তার উপস্থিতিতে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গর্ভপাত করানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানতাম না এ বিষয়ে। ওই মেয়ে রক্ত শূন্যতার কথা বলে আমাকে নিয়ে গেছিলো।

অভিযোগে ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, একটি ব্যান্ডের দল করার মাধ্যমে ঋদ্ধের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের কিছুদিন পর ঋদ্ধ তাকে প্রপোজ করে। শুরুতে তিনি সম্পর্কে জড়াতে রাজি ছিলেন না কারণ কিছুদিন আগে তিনি আরেকটি সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসেন। কিন্তু ঋদ্ধ বারবার তার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে উৎসাহিত করে এবং এক পর্যায়ে সে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে নানাভাবে বোঝানোর পর এক পর্যায়ে তিনি ঋদ্ধর সঙ্গে সম্পর্ক জড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।

অভিযোগে তিনি বলেন, সম্পর্কে জড়ানোর কিছুদিন পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে পরে তা শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত যায়। এরপর মাঝেমধ্যে ঋদ্ধ কথা কাটাকাটির জেরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় আবার বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে সম্পর্ক ঠিক করে নেয়। পরে ঋদ্ধ আরেকটা মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এর কিছুদিন পর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানতে পারেন তিনি কনসেভ করেছেন। এ বিষয়টি ঋদ্ধকে জানালে তিনি গর্ভপাতের জন্য চাপ দেন। কিন্তু ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গর্ভপাত করতে রাজি না হলে আবার বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গর্ভপাত করান। গর্ভপাতের কিছুদিন দিন পর আবার তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন ঋদ্ধ।

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ঋদ্ধের সাথে ছাত্রদলের কোনো সম্পর্ক নেই। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে এটাই চাওয়া।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, উপাচার্য স্যারের কাছে একজন শিক্ষার্থী অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। স্যার আজকে অফিসে ছিলেন না, তাই অফিসে দিয়ে আসতে পারেন। আমি এ বিষয়ে জানি না। এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে পাওয়া যায়নি তাকে।

#বিশ্ববিদ্যালয় #জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়