ইয়াবা সেবনের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর (জাবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শুক্রবার (৯ মে) রাত সাড়ে দশটার দিকে ১০ নং হল (সাবেক বঙ্গবন্ধু হল) সংলগ্ন সিডনি ফিল্ডে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে নিরাপত্তা শাখায় আটক কর্মচারীকে হস্তান্তর করা হয়।
আটক কর্মচারীর নাম রাশেদুল হাওলাদার আলিম ওরফে শাকিল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিসের বাস ক্লিনার।
প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিডনি ফিল্ডে ইয়াবা সেবন করছিলেন শাকিল। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী গিয়ে তাকে আটক করে। পরে তিনি ইয়াবা সেবনের কথা স্বীকার করেন। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি ১০ নং হল প্রশাসনকে অবগত করে। পরবর্তীতে হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল টিম এসে নিরাপত্তা শাখার সহায়তায় অভিযুক্তকে আটকে করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। আটককালে অভিযুক্ত একটি মোবাইল নম্বরে কল করে উদ্ধারের সহযোগিতা চেয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
অভিযোগের কথা অস্বীকার করে রাশেদুল বলেন, আমি আনুমানিক রাত ৯টার দিকে সিডনি ফিল্ডে যাই। সেখানে এমনিতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন দুজন শিক্ষার্থী আমাকে বহিরাগত ভেবে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত মনে করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমি ক্যাম্পাসের স্টাফ বলে পরিচয় দিলে পরবর্তীতে তারাসহ আরও কয়েকজন আমাকে ধরে নিয়ে আসে।
তবে সিডনি ফিল্ডে আটকের সময় রাশেদুলের কাছ থেকে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রক্টরিয়াল টিম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১০ নং হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল রকীব বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল টিমসহ ঘটনাস্থলে যাই। পরে সেখান থেকে নিরাপত্তা শাখার সহায়তায় প্রক্টর অফিসে এনে অভিযুক্তকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। নিরাপত্তা শাখা এ ঘটনার একটি তদন্ত রিপোর্ট দিবে। রিপোর্ট পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আমরা পাঠিয়ে দিবো। রিপোর্ট অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।