জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রথম বর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবিতে ফের আমৃত্যু গণঅনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পরে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে এ গণঅনশনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এর আগে দুপুরে সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন এবং জানান তারা পোষ্য কোটার বিষয়ে একটি কমিটি করেছে এই কমিটি প্রতিবেদন দেয়ার পর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। উপাচার্যের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তারা ফের অনশনে বসেছেন।
অনশনকারীরা হলেন- প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইমরান হোসেন রাহাত, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম, ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী চিশতি, বাংলা বিভাগের মুহাম্মাদ মাহাদী, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মুয়িদ মুহাম্মদ ফাহিম, অর্থনীতি বিভাগের নকিব আল মাহমুদ অর্ণব, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ইমন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আল নাহিয়ান এবং সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মালিহা নামলাহ।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সদস্য সচিব তৌহিদ সিয়াম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আসন্ন জাকসু নির্বাচন বানচাল করতে চায়। আগামী ৬ তারিখ জাকসুর তফসিল ঘোষণা করার কথা কিন্তু এই সময়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার মতো একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী একটি কমিটি গঠন করেছি তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী আমরা সরাসরিভাবে এখানে কোনো কিছু ডিক্লেয়ার করতে পারি না।
এর আগে, গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় দিকে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাতে দিকে অনশনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ জনে। পরে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান সোমবার দুপুরে তিনটায় শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেবেন এমন আশ্বাস দিলে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে তারা অনশন স্থগিত করেন।