জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফল জালিয়াতির অভিযোগ | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফল জালিয়াতির অভিযোগ

জুলাই অভ্যুত্থানে একজন শিক্ষক আমাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছিলেন। তার প্রতিবাদে আমি গত বছরের ২ আগস্ট একটা স্যাটায়ার টাইপ পোস্ট করেছিলাম। তার জের ধরে বিভাগের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকেরা চক্রান্ত করে আমার ফাইনাল সেমিস্টারে রেজাল্ট কমিয়েছেন।

#জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় #জালিয়াতি #শিক্ষক

আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের কারণে ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. সাজিদ ইকবাল।

গত ১৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর অভিযোগটি দায়ের করেন তিনি।

এ ব্যাপারে মো. সাজিদ ইকবাল বলেন, ‘আমার থিসিস সুপারভাইজরের ফিডব্যাক ও মার্কিং ভাল ছিলো। এমনকি দুইটা থিসিস সেমিনার প্রেজেন্টেশনেও আমি কোনো নেগেটিভ কমেন্টস পাইনি। সবাই প্রশংসা করেছেন। প্রথম থেকে সপ্তম সেমিস্টার পর্যন্ত সিজিপিএ ৩ দশমিক ৮১ থাকলেও, অষ্টম সেমিস্টারে ছয় ক্রেডিটের থিসিসে ৩ দশমিক ২৫ জিপিএ দিয়ে আমার রেজাল্টে ধ্বস নামানো হয়েছে। ফলে অষ্টম সেমিস্টারের ফলাফল ৩ দশমিক ৫৫ সিজিপিএ হওয়ায়, অনার্সে আমার চূড়ান্ত সিজিপিএ হয় ৩ দশমিক ৭৮, যা স্পষ্টতই পরিকল্পিত হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত বহন করে।’

ইকবাল আরও জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে একজন শিক্ষক আমাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছিলেন। তার প্রতিবাদে আমি গত বছরের ২ আগস্ট একটা স্যাটায়ার টাইপ পোস্ট করেছিলাম। তার জের ধরে বিভাগের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকেরা চক্রান্ত করে আমার ফাইনাল সেমিস্টারে রেজাল্ট কমিয়েছেন। এমনকি পরীক্ষা কমিটিতে থাকা অন্যদের না জানিয়ে আমার থিসিস থার্ড এক্সামিনারের কাছে পাঠানো হয়েছে কম মার্কস দেওয়ার উদ্দেশ্যে।

থিসিস ও অষ্টম সেমিস্টারের ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি, যথাযথ তদন্ত এবং জড়তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন অভিযোগকারী এই শিক্ষার্থী।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. সালেহ আহাম্মদ খান বলেন, ‘এই বিষয়ে এখনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই বিষয়ে কাজ করছে।’

#জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় #জালিয়াতি #শিক্ষক