ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ভবন’ একটি বড় মাপের অর্জন। যেকোনো বিবেচনায় তুলনামূলকভাবে এটি একটি অধুনিক স্থাপত্য, যা অনেকগুলো সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বহুদিনের, বহুজনের আশা পূরণ হলো। আবাসন সংকটকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে অগ্রাধিকার দিতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এক হাজার ৮ জন শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিতের জন্য ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ভবন’ একটি বড় মাপের অর্জন।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের নতুন ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ভবন’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ (শিক্ষা), কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
এ সময় বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন মহাদয়, হলের আবাসিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য আরো বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণ করছি এই স্থাপনার মাধ্যমে। এ ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে আমাদের হাতে একটি ঐতিহাসিক দায় এবং দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। আমরা তাদেরকে স্মরণ করছি, যাদের রক্তের ওপর আমরা দাঁড়িয়ে আছি।
অনুষ্ঠানে ঢাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে যতোগুলো পাবলিক ইউনিভার্সিটি আছে তার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রথম জুলাই স্পিরিটকে ধারণা করে একটি ভবনের নামকরণ করা হচ্ছে জুলাই শহীদ স্মৃতি ভবন। যারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ হয়েছেন তারা সব সময় আমাদের স্মৃতিতে অম্লান থাকবেন।একই সঙ্গে যে কারণে তারা আত্মত্যাগ করেছেন তা আমাদের মনে রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শহীদরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র, বৈষম্যহীন প্রতিষ্ঠান নির্মাণে আত্মত্যাগ করেছেন। এই সব শহীদদের চাওয়া, প্রত্যাশা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় সচেতন আছে।
আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের যে সম্পদ আছে তা যেনো ন্যায্যতার সঙ্গে সব শিক্ষার্থীদের মাঝে বণ্টন হয়, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বদ্ধপরিকর।