জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দিনব্যাপী ‘জেইউএসসির রিসার্চ ওয়ার্কশপ ২০২৫’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
জাবি সায়েন্স ক্লাব (জেইউএসসি) আয়োজিত এই কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
কর্মশালার প্রথম সেশনে জাবির রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও খ্যাতনামা বিজ্ঞানী অধ্যাপক এনামুল হক “মাস্টারিং মেনুস্ক্রিপ্ট রাইটিং - এথিকস, স্ট্রাকচার অ্যান্ড পাবলিকেশন্স’ শীর্ষক বিষয়ে আলোচনা করেন। গবেষণাক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ২০২৩ সালে বিএএস গোল্ড মেডেল এবং ২০২৩ ও ২০২৪ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্বের শীর্ষ দুই শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পান।
দ্বিতীয় সেশনে ‘আইডিয়া, ইটিরেশন, ইমপ্যাক্ট: এ রিসার্চার্স রিফ্লেক্সন’ বিষয়ে আলোচনা করেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাদিম শরীফ। ভাইরোলজি, বায়োইনফরমেটিক্স এবং গাট মাইক্রোবায়োম নিয়ে কাজ করা এই গবেষক দি ল্যানচেট ও সায়েন্টিফিক রিপোর্ট পত্রিকার রিভিউয়ার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাবি সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি মো. সৌরভ বলেন, ‘বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনের লক্ষ্যে দুই দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে জাবি সায়েন্স ক্লাব। ভবিষ্যতের গবেষক তৈরিতে এ উদ্যোগ একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র।’
কর্মশালার কনভেনর ও ক্লাবের হেড অব সায়েন্টিফিক রিসার্চ তানভীর মাজহার বলেন, ‘গবেষণায় আগ্রহ সৃষ্টি এবং প্রকাশনার প্রতি শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে এই ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হয়েছে। এ ধরনের কর্মশালা শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে গবেষক তৈরির স্থান। প্রয়োজন হলে বিসিএস প্রস্তুতির জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা যেতে পারে।’ গবেষণায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে জাবি সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক বলেন, ‘গবেষণা করতে হবে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির তৃষ্ণা থেকে, শখ নয়। মুখস্থনির্ভর প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের লেখালেখিতে দুর্বল করেছে।’
কর্মশালার সার্টিফিকেট বিতরণী পর্বে অধ্যাপক ফজলুল করিম পাটুয়ারি বলেন, ‘যতো বেশি শিক্ষার্থী গবেষণায় যুক্ত হবে, দেশ ততোই এগিয়ে যাবে। এমন আয়োজন আরও নিয়মিত হওয়া উচিত।’
কো-কনভেনরের দায়িত্বে ছিলেন কো-হেড অব সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইরফাতুল জান্নাত তানিয়া এবং হেড অব রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সাইফুল ইসলাম।