মোটা, চিকনের দোটানায় এখন কম বেশী সবাই। কি খেলে মোটা থেকে চিকন হওয়া যাবে এর পেছনে ছুটছে এক গ্রুপ আর চিক পাতলা শরীরে কিভাবে একটু মাংস ধরানো যায় তার জন্যও নিরন্তর প্রচেষ্টা কিছু মানুষের।
তবে বড় অংশই স্বাস্থ্য সচেতন হিসেবে মুটিয়ে না যাওয়ার পক্ষে। তার খাবারের ডায়েট মুন্য অনুসরণ থেকে কত কিছুই না করে যাচ্ছেন।
তবে মোটা হওয়া বন্ধ করতে কিছু বিষয় অবশ্যই পালন করতে হবে। শুধু ডায়েটিং করলেই হবে না। সামন্য পরিমাণ খাবারও আপনার জন্য মোটা হওয়ার কারণ হতে পারে। যাদি আপনি তা গো গ্রাসে গিলে খান।
ছোট বেলায় হয়তো অনেকবার শুনেছেন-"আস্তে আস্তে খাও!", "মন দিয়ে খাও", "খাওয়ার মাঝে কথা বলতে হয় না"। তখন কথাগুলো রূপকথার মতো মনে হলেও বাস্তবে কিন্তু সেই কথাগুলোই সত্য ছিলো। তাদের কথাগুলো যে ঠিকই বলতেন সেটা এখন বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত হয়েছে।
মনোযোগ দিয়ে খাওয়া, ধীরে ধীরে চিবানো মস্তিষ্ক এবং পেটের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।
খাদ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ লেসলি হেইনবার্গ, দ্রুত খাওয়া ও ধীর গতিতে খাওয়ার স্বাস্থ্যগত দিক নিয়ে দীর্ঘ সময় গবেষণা করেছেন। সেখান থেকে তিনি জানতে পেরেছেন শুধু সময় নিলে খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া সম্ভব।
কোনো কিছু খাওয়ার পরে আমাদের পেট ভরেছে কিনা আমাদের পাকস্থলী মস্তিষ্কে সেই সিগনাল পাঠাতে ২০ মিনিট সময় নেয়। এর মানে দ্রুত খাওয়া বলতে বোঝায় কেউ যদি খাবার খেতে ২০ মিনিটের কম সময় নেয়।
বেশি সময় ধরে খেলে, অর্থাৎ ২০ মিনিট বা তার বেশি সময় নিলে খাবার ভালো হজম হয়। পেট বেশিক্ষণ ভরা থাকে। এটা ওটা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায় । এ কারণে সঠিক ওজন বজায় রাখা সহজ হয়।
অন্যদিকে দ্রুত খেলে ভালোভাবে চাবানো হয় না। একবার গ্রাস খাওয়ার পর আরেকটি গ্রাস নেওয়ার মধ্যে বিরতি দেয়া হয় না।
তাছাড়া ব্রেনও পেট ভরার সিগন্যাল পায় না। এতে যেটা হয় বেশি বেশি খাওয়া হয়ে যায় এবং শরীর ভারী লাগে।
এই দ্রুত খাওয়ার কয়েকটি কারণ আছে, একটি হলো ব্যস্ততা বা কাজের চাপ। অনেকে মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা থেকেও দ্রুত খেয়ে থাকেন।
আবার দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে, কঠোর ডায়েট ফলো করলে অনেক ক্ষুধা লাগে এবং দ্রুত খাওয়া হয়।
কিন্তু দ্রুত খাওয়ার ফলে খাবার আনন্দ নিয়ে বা খাবারটা উপভোগ করে খাওয়ার হয় না। এতে হজমের সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয়।