বঙ্গবন্ধুসহ ৪ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্টে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন।
বুধবার (৪ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে অধ্যাপক মামুন লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীনসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করলেন। তাজউদ্দীনের নামে নিজ এলাকায় একটি কলেজ ছিল সেই নামটিও বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। একটা গান আছে না? যদি কাগজে লেখো নাম কাগজ ছিঁড়ে যাবে, পাথরে লেখো নাম পাথর ক্ষয়ে যাবে হৃদয়ে লেখো নাম সে নাম রয়ে যাবে। এইসব নাম লাখ কোটি মানুষের হৃদয়ে। সমস্যা ছিল শেখ হাসিনা সরকারের।
তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়, এয়ারপোর্ট ইত্যাদির নাম পরিবর্তনের আর্থিক মাশুল জানেন? আপনারা টাকার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ছবি আছে বলে তার ছবি বাদ দিয়ে নতুন টাকা ছাপালেন। এই পরিবর্তনের আর্থিক মাশুল জানেন? দেশ যেখানে আর্থিক সমস্যায় ভুগছে সেখানে এইসব ফালতু কাজ করা রীতিমত ক্রাইম। টাকা নাই এই দোহাই দিয়ে শিক্ষায় বরাদ্দ দেন জিডিপির মাত্র ১.৭%। অথচ আপনারা ছাত্র শিক্ষকদের আন্দলনের ফসল। ছাত্র-শিক্ষকদের দিকে তাকিয়ে হলেওতো শিক্ষায় অন্তত ৫% না হউক ৪% দেওয়া উচিত ছিল। প্রতিরক্ষায় বাজেট কত? ওখানে কমিয়েছেন?
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্যে করে অধ্যাপক মামুন বলেন, আপনারা কি রাগ নিয়ে সরকার চালাচ্ছেন? আপনারা না শপথ নিয়েছেন রাগ বা অনুরাগের বশবর্তী হয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না? এইসব ফালতু, আজাইরা, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দিন। এইসব কাজে সময় ব্যয় করার জন্যতো আপনাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এইসব কাজের মাধ্যমে দেশের একটা বড় অংশের মানুষের মধ্যে রাগ ক্ষোভ সৃষ্টি করছেন যা শেখ হাসিনা সরকারও করেছিল। এই ক্ষোভ যখন পারকোলেট করবে দেশে কিন্তু অরাজগতা সৃষ্টি হবে। আপনাদের নিয়ত খুব ভাল মনে হচ্ছে না।