১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৩৫ ঊর্ধ্বদের শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবিতে সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা করছেন। এর অংশ হিসেবে তারা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে রওনা হয়েছেন।
রোববার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সচিবালয়ের দিকে যাত্রা শুরু করেন। তারা এই কর্মসূচির নাম দেন ‘সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ’।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও বয়সের কারণে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারেননি ৭৩৯ জন প্রার্থী। তারা অন্তত একবার সুযোগের দাবি করছেন।
তারা জানান, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হয় ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে, যা চার বছরেরও বেশি সময়।
এতে ৩৫ বছর পেরিয়ে যাওয়ায় ৭৩৯ জন প্রার্থী পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ হারান। অথচ সনদের মেয়াদ তিন বছর থাকা সত্ত্বেও তাদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
তারা আরও উল্লেখ করেন, এনটিআরসিএ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তাব পাঠালেও আইনি জটিলতার কথা বলে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
যদিও আইন মন্ত্রণালয় আপিল বিভাগের রায় ও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রার্থীদের বয়স ৩৫ নির্ধারণের বিষয়ে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ রেখেছে।
তাদের অভিযোগ এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান হঠাৎ করেই এনবিআর থেকে বদলি হয়ে এনটিআরসিএতে আসেন। তিনি কিছুই না বুঝে দীনা পারভীনসহ কয়েকজনের পরামর্শে প্রতিষ্ঠান চালাতে গিয়ে গোয়ার্তুমিও করেন।
এনটিআরসিএর পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রায় ৯৭ হাজার শূন্য পদের বিপরীতে মাত্র ২৪ হাজারের কম প্রার্থী আবেদন করেন। যেখানে ৭৩৯ জন ১৭তম নিবন্ধনধারী বয়সের কারণে আবেদন করতে পারেননি।
তাদের দাবি, এনটিআরসিএ বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে যৌক্তিক বিবেচনায় ছাড় দিলেও এই ব্যাচের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে যাত্রা শুরুর সময় শুধু প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী সনদ দেয়া হতো।
সেটা দেখিয়ে শিক্ষক পদে আবেদন করা যেতো। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া পরীক্ষাই ছিলো চূড়ান্ত। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত দায়িত্ব পায় এনটিআরসিএ।